কলকাতা :  হিন্দু ধর্মে হনুমান জয়ন্তীর দিনটিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। হনুমানজির পূজা করলে জীবনে সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং সুখ ও শান্তি আসে।

  এই দিনে হনুমানজির পূজা করলে জীবনে সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং সুখ ও শান্তি আসে। প্রতি বছর চৈত্র মাসের পূর্ণিমা তিথিতে হনুমান জয়ন্তী পালিত হয়। অনেক জায়গায় এই উৎসব কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতেও পালিত হয়।


বজরঙ্গবলী বন্দনা
এই দিনে, ভক্তরা বজরঙ্গবলীর জন্য উপবাস করেন এবং সম্পূর্ণ নিষ্ঠার সঙ্গে পূজা করেন। এই দিনে বজরঙ্গবলীর ভক্তরা তাঁকে খুশি করার জন্য বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠান ও ব্যবস্থা করেন।
বজরঙ্গবলীর পূজা কখন করবেন : 



  • চৈত্র পূর্ণিমা তিথি শুরু হচ্ছে ৫ মার্চ সকাল ৯টা ১৯ মিনিটে।

  • একই সময়ে, এটি শেষ হবে ৬ এপ্রিল সকাল ১০.৪ মিনিটে।

  • চৈত্র মাসের পূর্ণিমা তিথিতে হনুমান জির জন্ম হয়েছিল। এ বছর হনুমান জয়ন্তী পালিত হবে ৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার।

  • বজরঙ্গবলীর পূজার শুভ সময় ৬ এপ্রিল সকাল ০৬.০৬ থেকে ০৭.৪০ পর্যন্ত। এদিনের শুভ মুহূর্ত দুপুর ১২.০২টা থেকে দুপুর পর্যন্ত।

  • এই দিনে ভক্তরা হনুমান জিকে সিঁদুর বা লাল কাপড় এবং ফুলের মালা অর্পণ করেন। হনুমানজিকে লাড্ডু, হালুয়া, কলার প্রসাদ দেওয়া হয়।

  • জন্মকুণ্ডলীতে শনির অশুভ প্রভাব থাকলেও এই দিনে রীতিমতো হনুমান জির পূজা করলে উপকার পাওয়া যায়।

  • হনুমান জির পূজা করলে শনিদেব সংক্রান্ত সমস্যাও দূর হয়। এই দিনে হনুমান চালিসা ও বজরং বান পাঠ করলে হনুমানজি প্রসন্ন হন। 

    আরও পড়ুন :

    ঝুঁকি নেবেন না বৃষ, জীবনে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত কন্যার, পড়ুন জন্মতারিখ অনুসারে রাশিফল


     রুদ্রাবতার বজরঙ্গবলীর জন্ম

    হিন্দুশাস্ত্রে কথিত আছে, শ্রী বিষ্ণুর রাম অবতারের সময় সহযোহিতা করার জন্য রুদ্রাবতার বজরঙ্গবলীর জন্ম হয়েছিল। মঙ্গলবার তাই সারাদেশে সকল ভক্তরাই ধুমধাম করে হনুমানজির পুজো করে থাকেন। হনুমান জয়ন্তীর দিন সরষের তেলে সিঁদুর মিশিয়ে প্রথমে বজরঙ্গবলীকে লাগান। এরপর বাড়ির মূল প্রবেশদ্বার থেকে শুরু করে ঘরের দরজায় স্বস্তিক চিহ্ন তৈরি করলে ঘরে নেতিবাচক শক্তি প্রবেশ করে না। 


    ডিসক্লেমার: এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র অনুমান এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা জরুরী যে ABPLive.com এমন কোনও ধরনের বিশ্বাস, তথ্যকে সমর্থন করে না। কোন তথ্য বা অনুমান প্রয়োগ করার আগে, সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন।