ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথি রাধাঅষ্টমী হিসাবে পালন করা হয়। রাধা অষ্টমী রাধারাণীর আবির্ভাব তিথি। বৈষ্ণব সমাজে মহাসমারোহে উদযাপিত হয়ে আসছে। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের হ্লাদিনী শক্তির প্রতিরূপ স্বরুপা হলেন রাধারাণী। 


পুজোর মাহাত্ম


বলা হয়, যে ব্যক্তি একবারের জন্যও রাধাষ্টমী ব্রত পালন করেন তবে তার কোটি মহাপাপও তৎক্ষনাৎ নষ্ট হয়। শত সহস্র একাদশী ব্রত পালনে যে ফল লাভ হয়, রাধাষ্টমী ব্রত পালনে তার শতাধিক ফল লাভ হয়।


শুভক্ষণ


২০২২ সালে অষ্টমী তিথি আরম্ভ হচ্ছে ৩ সেপ্টেম্বর, দুপুর ১২টা ২৮ মিনিটে। অষ্টমী তিথি সমাপ্ত হবে ৪ সেপ্টেম্বর, সকাল ১০টা ৩৯ মিনিটে।শাস্ত্র অনুসারে, শ্রী রাধিকা কৃষ্ণের জন্মদিনের ১৫ দিন পরে শুক্লপক্ষের অষ্টমীতে অভিজিৎ মুহুর্তের রাজা বৃষানুর যজ্ঞ ভূমি থেকে আবির্ভূত হয়েছিলেন। উদয় তিথি অনুযায়ী রাধা অষ্টমীর উৎসব পালিত হবে ৪ সেপ্টেম্বর।


পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, জন্মাষ্টমী অর্থাৎ কৃষ্ণের জন্মগ্রহণের ঠিক ১৫ দিন পরে রাধারানির জন্ম হয়েছিল। এই দিনটিকেই রাধাষ্টমী হিসেবে পালন করা হয়। পদ্ম পুরাণ অনুসারে, রাধাজি শ্রদ্ধেয় যাদব রাজা বৃষভানু গোপা-এর ঘরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং তাকে দেবী লক্ষ্মীর রূপ বলেও মনে করা হয়। বৈষ্ণব সম্প্রদায়েও রাধাকে শ্রীকৃষ্ণের শক্তি রূপ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। কথিত আছে রাধাষ্টমী ব্রত পালন করলে সমস্ত পাপ চলে যায়। গঙ্গা আদি সকল তীর্থের ফল লাভ হয়।


রাধাষ্টমী পূজা পদ্ধতি


রাধাষ্টমীর দিন স্নান করে পরিষ্কার বস্ত্র পরিধান করুন। মন নিয়ে ব্রতয় সংকল্প করুন। স্নান সেরে রাধা রানির মূর্তি পঞ্চামৃত দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। রাধাকে ধূপ, দীপ, ফলের নৈবেদ্য অর্পণ করুন। বিবাহিত মহিলারা পুজোর সময় ষোল শৃঙ্গার করুন রাধা রাণীর। মূলত দুপুর বেলায় রাধারানির পুজো সর্বোত্তম। এ সময় রাধারানির সঙ্গে বিধিপূর্বক কৃষ্ণের পুজোও করতে হবে। পূজার স্থানে একটি জল ভর্তি কলসি রাখুন। রাধা ও কৃষ্ণের আরতি করুন এবং প্রসাদ বিতরণ করুন, যে কোনও পুজোর পরেই দুস্থ মানুষকে কিছু দান করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এতে ঈশ্বর প্রসন্ন হন। তাই এদিনও চেষ্টা করুন অসহায় দুস্থ মানুষকে সাধ্যমতো কিছু দান করুন। 


উপরে উল্লেখিত সবটাই কথিত কাহিনী। পৌরানিক গল্প। এর কোনও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা বা ভিত্তি নেই।