ন্যায়ের দেবতা শনি দেব বর্তমানে বিপরীত দিকে হেঁটে চলেছেন। অর্থাৎ জ্যোতিষশাস্ত্রের ভাষায়, শনি বর্তমানে বিপরীতমুখী অবস্থায় রয়েছেন। খুব শীঘ্রই শনি নিজস্ব রাশি কুম্ভতে প্রত্যক্ষ হতে চলেছেন। শনিদেব দীপাবলির ১৫ দিন পরে ১৫ নভেম্বর থেকে প্রত্যক্ষ গতিতে থাকবেন। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, শনি প্রত্যক্ষ হয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে যাবেন। শনির এই গতিবিধির কারণে কিছু রাশির জাতকদের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে। কয়েকটি রাশির জাতকদের ভাগ্যের অবনতি ঘটবে। কারও আবার হবে উন্নতিও। শনি প্রত্যক্ষ হওয়ার কারণে জীবনে নানারকম ঝঞ্ঝাট উপস্থিত হতে পারে। শনি যখন ক্রুদ্ধ হন, তখন তিনি উগ্র রূপ ধারণ করেন। শনির দৃষ্টি থেকে রেহাই পায় না কেউ। আসুন জেনে নেওয়া যাক কোন রাশির জাতক জাতিকাদের শনি দেবের দৃষ্টি থেকে সাবধান হওয়া দরকার।
শনি প্রত্যক্ষ হয়ে কোন কোন রাশির জাতকদের সমস্যা বাড়বে?
কর্কট রাশি
- স্বাস্থ্যের বিশেষ যত্ন নেওয়া দরকার। কোনও ধরনের মানসিক চাপ নেবেন না। স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। মাথা ঠান্ডা রেখে কাজ করতে হবে।
- কর্কট রাশি হলে দীপাবলির ১৫ দিন পর থেকে কর্কট রাশির জাতকদের কঠিন সময় শুরু হতে পারে। স্বাস্থ্যনিয়ে অসুবিধেয় পড়তে পারেন।
- পরিবারের মধ্যে তর্ক বাড়তে পারে। তাই এই সময়ে আপনার রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। পারিবারিক বিবাদ মেটানোর চেষ্টা করুন।
মীন রাশি
- মীন রাশির জাতক জাতিকাদের দীপাবলির পরে একটু সাবধানে থাকতে হবে। এই সময়ে নানারকম সমস্যায় পড়তে পারেন জাতকরা। তাই এর থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
- এই সময় বিপদ এড়ানোর উপায়ই হল ঈশ্বরের উপর আস্থা রাখা। আধ্যাত্মিকতার আশ্রয় নিন।
- কারও সঙ্গে মিথ্যাচরণ করা যাবে না।
- পরিবারের বড়দের প্রতি মনোযোগ দিতে হবে। সঙ্গীর সঙ্গে বেশি সময় কাটানোর চেষ্টা করুন।
- কর্মক্ষেত্রেও সমস্যা আসতে পারে। তবে ন্যায়ের পথে থাকলে সমস্যা আপনাকে বিব্রত করবে না।
মকর রাশি
- দীপাবলির পরে, মকর রাশির জাতকদের জন্য সবচেয়ে কঠিন সময় শুরু হবে। এই সময়ে এই রাশির জাতক জাতিকাদের সতর্ক থাকতে হবে। কথায় কথায় গলা চড়াবেন না।
- অনেকেই রেগে গিয়ে খারাপ কথা বলে কুৎসা করেন। খারাপ ভাষা ব্যবহার করবেন না। পরে অনুতাপ করতে হতে পারে।
- প্রেম জীবনে অনেক বাধা আসতে পারে। তবে সঙ্গীপ প্রতি বিশ্বস্ত থাকতে হবে।
ডিসক্লেমার : কোনও রাশির জাতক বা জাতিকার ভাগ্যে কী রয়েছে সেই সংক্রান্ত কোনো মতামত এবিপি লাইভের নেই। এবিপি লাইভ জ্যোতিষ সম্পর্কিত কোনো সম্পাদকীয় / সম্পাদক-নিয়ন্ত্রিত তথ্য, পরামর্শ প্রদান করে না। প্রদত্ত পরামর্শ ও তথ্য প্রয়োগের আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।