কলকাতা : শনিবার ভগবান শনিকে ( Shani Dev ) উৎসর্গ করা হয়। শনিদেবের কৃপায় যে কোনও কাজ গতি পায়। শনি দেবের কৃপা থাকলে প্রতিটি কাজে সাফল্য পাওয়া যায়। অন্যদিকে শনি যদি অশুভ অবস্থানে থাকে, তাহলে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। কর্মে সেই ব্যক্তি সাফল্য পান না। শনিবার শনিকে খুশি করার জন্য অনেক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে শনিবার এই রীতিগুলি অনুসরণ করলে সমস্ত সমস্যা দূর হয়। জেনে নেওয়া যাক শনিবার কী উপায়ে শনির রোষ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
- আপনি যদি শনির সাড়েসাতিতে নানা সমস্যায় কষ্ট পেয়ে থাকেন, তাহলে ভোরবেলা পঞ্চামৃতে কালো তিল মিশিয়ে ভোলেনাথকে নিবেদন করুন এবং কষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য তাঁর কাছে প্রার্থনা করুন। শনিবার এই প্রতিকার করলে শনির প্রকোপ থেকে শান্তি পাওয়া হয়।
- শনিবার কোনও বৃদ্ধ বা অসহায় ব্যক্তিকে খাদ্য সামগ্রী দান করুন। এর ফলে শনিদেবের আশীর্বাদও পাওয়া যায়।
- শনিদেব যদি ক্রুদ্ধ হন বা অসন্তুষ্ট হন, তাহলে সরিষার তেলে মুখের ছায়া দেখে কোনো অভাবী মানুষকে দান করুন। এতে ক্রুদ্ধ শনিদেব শান্ত হন এবং তাঁর আশীর্বাদ লাভ করেন।
- শনিবার কোন অভাবীকে কালো কাপড়, কালো কম্বল, কালো পশমের কাপড় দান করুন। এতে শনিদেব খুব খুশি হন।
- শনিবার কোনও দরিদ্র বৃদ্ধকে জুতা ও চপ্পল দান করলেও শনিদেবের বিশেষ আশীর্বাদ পাওয়া যায়। এই দিনে কালো উড়দ, কালো তিল, সরিষার তেল, কালো ফল, কালো রঙের জিনিস নিবেদন করলে শনির যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
- শনিবার পিপুল গাছের মূলে জল দিন। এবার গমের আটার তৈরি প্রদীপ ও ধূপকাঠি জ্বালিয়ে দিন। প্রতি শনিবার সন্ধ্যায় এই উপায়টি করলে শনির ছায়া থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
- যদি শনি আপনার জন্মকুণ্ডলীতে মূল ত্রিকোণের অধিপতি হন, তবে আপনি জ্যোতিষীর পরামর্শ নিয়ে নীলকান্তমণিও পরতে পারেন
- শনির অশুভ প্রভাব এড়াতে প্রতিদিন তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠতে হবে। এ ছাড়া মাংস ও অ্যালকোহল না খাওয়ার বিধান দেন অনেকে।
- কোন ভুল কাজ করবেন না এবং আপনার চরিত্র ঠিক রাখুন কারণ যারা অন্যায় করে তাদের শাস্তিও দেন শনিদেব।
শনিবার এই রীতিগুলির মধ্যে কয়েকটি মেনে চলতে পারলে শনির ক্রোধ থেকে রক্ষা পেতে পারেন।
ডিসক্লেমার : (কোনও রাশির জাতক বা জাতিকার ভাগ্যে কী রয়েছে সেই সংক্রান্ত কোনো মতামত এবিপি লাইভের নেই। এবিপি লাইভ জ্যোতিষ সম্পর্কিত কোনো সম্পাদকীয় নিয়ন্ত্রিত তথ্য প্রদান করে না। প্রদত্ত পরামর্শ ও তথ্য প্রয়োগের আগে প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)