নয়া দিল্লি:  সরকারি চাকরিতে (Job Quota) সংরক্ষণ-বিরোধী আন্দোলনে অশান্ত বাংলাদেশ (Bangladesh)। ইতিমধ্যেই মৃত শতাধিক। রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের জেরে স্তব্ধ রাজধানী ঢাকা সহ একাধিক বড় শহর। পড়শি দেশে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির জেরে বাতিল করা হয়েছে কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস ও কলকাতা-খুলনা বন্ধন এক্সপ্রেস। আর এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের এই বিক্ষোভ-আন্দোলনকে 'অভ্যন্তরীণ' বিষয় বলে উল্লেখ করল ভারত।  


বিদেশ মন্ত্রকের মুখ্যপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, বর্তমানে বাংলাদেশে ১৫ হাজার ভারতীয় রয়েছেন। এর মধ্যে ৮৫০০ জন পড়ুয়া। সূত্রের খবর, শুক্রবার রাত ৮টা পর্যন্ত ১২৫ জন ছাত্র-সহ ২৪৫ জন ভারতীয় ভারতে ফিরে এসেছেন। ভারতীয় হাইকমিশনও ১৩ নেপালি ছাত্রকে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছে। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এও জানান হয়েছে, এই হিংসা-বিক্ষোভ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। ভারতের চিন্তা কীভাবে ভারতীয়দের নিরাপদে ফিরিয়ে আনা যায়।


এদিকে সংবাদসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, বাংলাদেশে নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১০৫। শুক্রবার রাত থেকে বাংলাদেশ জুড়ে কার্ফু জারি করেছে শেখ হাসিনা সরকার।                                                     


রক্তক্ষয়ী আন্দোলনে স্তব্ধ রাজধানী ঢাকা-সহ একাধিক বড় শহর। জরুরি পরিষেবা ছাড়া বন্ধ স্কুল-কলেজ-সহ বন্ধ সব কিছু। দেশজুড়ে বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। পরিস্থিতি সামলাতে চলছে সেনার টহলদারি। নামানো হয়েছে সাঁজোয়া গাড়ি। সবরকম মিটিং, মিছিল, সভা নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা পুলিশ। 


আরও পড়ুন, গোটা বাংলাদেশে কারফিউ, নামল সেনা! আরও অশান্তির পথে পড়শি দেশ?


বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পেরিয়ে দলে দলে দেশে ফিরছেন ভারতীয় পড়ুয়ারা। মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা জানিয়েছেন, গতকাল ৪০৫ জন পড়ুয়াকে ডাওকি সীমান্ত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। নেপাল ও ভুটানের কয়েকজন পড়ুয়া এবং  বেশ কয়েকজন পর্যটককেও মেঘালয় সরকার উদ্ধার করেছে। মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বাংলাদেশের ইস্টার্ন মেডিক্যাল কলেজে ৩৬ জন পড়ুয়া আটকে রয়েছে বলে জানা গেছে। তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। বাংলাদেশে আটকে পড়া ভারতীয়দের ত্রিপুরা সীমান্ত দিয়ে ফেরানোরও চেষ্টা চলছে বলে জানা গেছে।             


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে