কলকাতা: রাজ্যে রেশন উপভোক্তাদের বিভিন্ন রকমের রেশন কার্ড রয়েছে। এক একটি কার্ডে সরকারের তরফে এক এক রকমের সুবিধা পাওয়া যায়। প্রতিটি রেশন কার্ডের ক্ষেত্রে খাদ্যশস্যের পরিমাণেরও বিস্তর ফারাক রয়েছে। তবে সেটা দেখার আগে একবার দেখে নেওয়া যেতে পারে রাজ্যে কত রকমের রেশন কার্ড রয়েছে।


সাধারণত আর্থিক পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে রেশন কার্ড আলাদা আলাদা দেওয়া হয়ে থাকে। এক একটি রেশন কার্ডে এক একরকম পরিমাণে রেশনসামগ্রী মেলে। এবার সবসময় একইরকম পরিমাণে খাদ্যশস্য পাওয়া যায় না। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের খাদ্য দফতর (Department of Food and Supplies, Government of WB) একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে, সেটি ট্যুইটও করেছে। সেখানে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে চলতি বছরে অর্থাৎ ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে কোন রেশন কার্ডে কতটা পরিমাণ খাদ্যশস্য মিলবে।


অন্ত্যোদয় অন্নযোজনা রেশনকার্ড (AAY):
এই রেশন কার্ড থাকলে উপভোক্তা বিনামূল্যে পরিবারপিছু ২১ কেজি চাল পাবেন। তার সঙ্গেই পরিবারপিছু বিনামূল্যে ১৩ কেজি ৩০০ গ্রাম পুষ্টিযুক্ত আটা বা গম পাবেন উপভোক্তা। মিলবে চিনিও। পরিবারপিছু ১ কেজি করে চিনি মিলবে। কিন্তু চিনির জন্য কেজিপ্রতি ১৩ টাকা ৫০ পয়সা দাম লাগবে।


বিশেষ অগ্রাধিকার প্রাপ্ত রেশনকার্ড (SPHH):
এই শ্রেণির রেশন কার্ড থাকলে, উপভোক্তারা মাথাপিছু খাদ্যশস্য পাবেন। উপভোক্তা মাথাপিছু ৩ কেজি চাল বিনামূল্যে পাবেন। পাশাপাশি এই কার্ডের জন্য উপভোক্তা মাথাপিছু ১ কেজি ৯০০ গ্রাম করে পুষ্টিযুক্ত আটা বিনামূল্যে পাবেন। যদি আটার বদলে গম দেওয়া হয় তাহলে মাথাপিছু ২ কেজি করে গম পাবেন।


অগ্রাধিকার প্রাপ্ত  রেশনকার্ড (PHH):
এই কার্ডে যে পরিমাণ রেশন মিলবে তা একেবারে বিশেষ অগ্রাধিকার প্রাপ্ত রেশনকার্ড (SPHH)-উপভোক্তাদের মতোই। 



আরও পড়ুন, বিনামূল্যে আধার আপডেটের শেষদিনে বদল! নতুন তারিখ কবে?


RKSY1 রেশনকার্ড:
এই কার্ডের উপভোক্তাদের ক্ষেত্রে রেশনের পরিমাণ বাকিগুলির তুলনায় অনেকটাই কম। উপভোক্তারা মাথাপিছু বিনামূল্যে ৫ কেজি করে চাল পাবেন। এই কার্ডে গমের সংস্থান নেই।


RKSY2 রেশনকার্ড:
এই কার্ডের উপভোক্তাদের ক্ষেত্রে রেশনের পরিমাণ RKSY1-কার্ডের থেকেও কম। উপভোক্তারা মাথাপিছু বিনামূল্যে ২ কেজি করে চাল পাবেন। এই কার্ডেও গমের সংস্থান নেই।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে