Mutual Fund Investor: বেশ কয়েক বছর ধরেই মিউচুয়াল ফান্ড ইন্ডাস্ট্রিতে এসআইপির হাত ধরে নিয়মিত বিনিয়োগের প্রতি মানুষের ঝোঁক বেড়েছে। আর এই মিউচুয়াল ফান্ডের এসআইপি-তেই কোটিপতি হয়েছেন অনেক বিনিয়োগকারী। প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকার এসআইপির হাত ধরেই আজকের দিনে ৬০ কোটি টাকার মালিক হয়েছেন  বিনিয়োগকারী গজেন্দ্র কোঠারি। প্রাথমিকভাবে গজেন্দ্র কোঠারি ফিউচারস অ্যান্ড অপশনস ট্রেডিংয়ে ৫০ লক্ষ টাকা খোয়ান, আর তারপরেই জীবনের মোড় ঘুরে যায়। এসআইপির গুরুত্ব বুঝতে পেরে তিনি প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা করে বিনিয়োগ করতে শুরু করেন। আর এখন তিনি প্রতি মাসে ৪০ লক্ষ টাকা করে বিনিয়োগ করে থাকেন এসআইপিতে। তাঁর স্ট্রাটেজি বিনিয়োগকারীদের কাছে অনন্য পাথেয়।

Continues below advertisement

এটিকা ওয়েলথ ক্যাপিটাল সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা গজেন্দ্র কোঠারির লক্ষ্য ছিল ৬৫ বছর বয়সের মধ্যে ৩ হাজার কোটি টাকার পোর্টফোলিও তৈরি করা। ২৪ বছর বয়সে ২০০৪ সালে তিনি প্রথম মিউচুয়াল ফান্ডের দুনিয়ায় আসেন। প্রথমে তিনি কাজ করতেন ইউটিআই মিউচুয়াল ফান্ডে। সেই সময় ভারতে মিউচুয়াল ফান্ড ইন্ডাস্ট্রির মূল্য ছিল ২-৩ লক্ষ কোটি টাকা আর আজকের দিনে তা হয়েছে ৭৫ লক্ষ কোটি টাকা। সেই সময় মাত্র ৩০ হাজার টাকার বেতনে মুম্বইয়ের মত ব্যয়বহুল জায়গায় কাজ করা দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছিল সংস্থার পক্ষে। পরে তিনি লন্ডনে চলে যান আরও বেশি বেতনের চাকরিতে। সেখানে গিয়ে দুই বছরের সঞ্চয় ফিউচারস অ্যান্ড অপশনস ট্রেডিংয়ে খোয়ান ২০০৮ সালের বৈশ্বিক মন্দার সময়ে।

২০১০ সালের অগাস্ট মাসে তিনি ১০ হাজার টাকা করে প্রথম মিউচুয়াল ফান্ডের এসআইপিতে বিনিয়োগ করা শুরু করেন। স্মলক্যাপ ফান্ড আর ইএলএসএস ফান্ডে তিনি বিনিয়োগ করতে শুরু করেন। তাঁর মেয়ের জন্মের পরও তিনি এই বিনিয়োগ চালিয়ে যান আর এভাবেই ১৫ বছর ধরে একটিও কিস্তি না বাদ দেওয়ায় তাঁর ১৮ লক্ষের বিনিয়োগ হয়ে যায় ৮৬ লক্ষ টাকা। স্মলক্যাপ ফান্ডে ২১ শতাংশ আর ইএলএসএস ফান্ডে ১৮ শতাংশ সিএজিআর দিয়েছে এই সময়ের মেয়াদে।

Continues below advertisement

তিনি বলেছেন যে তাঁর প্রথম কিস্তির ৫০০০ টাকাই হয়ে গিয়েছে ৫৫ হাজার বা ৬০ হাজার টাকা। ১১-১২ গুণ বেড়ে গিয়েছে মূল্য আর এই টাকা ৩০ বছরে গিয়ে ৭ লক্ষে পৌঁছে যাবে যা কিনা মূল আমানতের ১৪০ গুণ বেশি। ২০২০-র কোভিডকালীন সময়ের আগে ১০ বছরে তাঁর পোর্টফোলিওর রিটার্ন ছিল মাত্র ৭ শতাংশ। কিন্তু তারপরেও তিনি ধৈর্য ধরেছিলেন এবং বিনিয়োগ চালিয়ে গিয়েছিলেন।

ধীরে ধীরে তিনি এসআইপির অঙ্কও বাড়িয়ে যেতে থাকেন। ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার, সেখান থেকে ১ লাখ, ২০২০ সালের পরে তিনি মাসে ৬-৭ লাখ টাকা করে এসআইপিতে বিনিয়োগ করতে থাকেন আর আজকের দিনে তাঁর এসআইপি চলে মাসে ৪১.২ লক্ষ টাকার। গজেন্দ্র কোঠারি বলেন প্রথম ১৫ বছর আপনার অ্যাক্টিভ ইনকাম (ব্যবসা, চাকরি ইত্যাদি)-তে মনোযোগ দিতে হবে ভাল করে। এটাই আপনার আয়ের মূল উৎস। তারপরে আপনার পরোক্ষ আয় এই মূল আয়ের উৎসকে ছাড়িয়ে যাবে। ১৫ বছর ধরে শূন্য থেকে ৬০ কোটির পোর্টফোলিও গড়ে তুলেছেন তিনি।

( মনে রাখবেন : এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র তথ্যের উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়েছে। এখানে উল্লেখ করা জরুরি যে, বাজারে বিনিয়োগ করা ঝুঁকি সাপেক্ষ। বিনিয়োগকারী হিসাবে অর্থ বিনিয়োগ করার আগে সর্বদা একজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন। ABPLive.com কখনও কাউকে এখানে অর্থ বিনিয়োগ করার পরামর্শ দেয় না। এখানে কেবল শিক্ষার উদ্দেশ্যে এই শেয়ার মার্কেট সম্পর্কিত খবর দেওয়া হয়। কোনও শেয়ার সম্পর্কে আমরা কল বা টিপ দিই না। )