নয়াদিল্লি: সোনা-রুপোয় কাস্টমস ডিউটি কমালেন নির্মলা সীতারামন। দুটি অতি মূল্যবান সামগ্রীর দাম সাম্প্রতিক কালে আমজনতা ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গিয়েছে কার্যতঃ। এই পরিপ্রেক্ষিতে সেগুলির ওপর বহিঃশুল্ক হ্রাসের পদক্ষেপ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। সোমবার লোকসভায় এবছরের সাধারণ বাজেট পেশ করে তিনি বলেছেন, সোনা ও রুপোর ওপর এখন ন্যূনতম সাড়ে ১২ শতাংশ বহিঃশুল্ক বসে। ২০১৯ এর জুলাইয়ে সোনা ও রুপোর ওপর এই শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়ানো হয়। যার জেরে তাদের দাম মারাত্মক বেড়ে যায়। সেই দাম যাতে আগের স্তরের কাছাকাছি আবার চলে আসে, সেজন্যই সোনা, রুপোর ওপর বহিঃশুল্কে সংস্কার করে সময়োপযোগী করা হচ্ছে। যদিও বিশেষজ্ঞদের অভিমত, সোনার ওপর উচ্চ হারে বহিঃশুল্ক চাপলে সরকারের সোনা আমদানি কমাতে সুবিধা হয়, কেননা তা বাণিজ্য ঘাটতি নিয়ন্ত্রণে রাখে।
সোনা-রুপোর দামে অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ফলেই বহিঃশুল্ক কমানোর মতো পদক্ষেপ করতে হয়েছে বলে ব্যাখ্যা দিয়েছেন নির্মলা। সোনা-রুপোর ওপর বহিঃশুল্ক হ্রাস করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত ছিল গত শুক্রবারই যখন সংসদে সর্বশেষ আর্থিক পেশ করে তাতে উল্লেখ করা হয়েছিল যে, অতিমারী আবহে উদ্ভূত আর্থিক পরিস্থিতিতে সোনা ‘নিরাপদ বিনিয়োগের ক্ষেত্র’ হিসাবে উঠে আসছে। কেননা ২০১৯ এর ডিসেম্বরের দামের সঙ্গে তুলনা করে দেখা যায়, ২০২০-র নভেম্বরে সোনার দাম বেড়েছে ২৬.২ শতাংশ। সমীক্ষায় বলা হয়, গ্লোবাল ইকনমিক পলিসি আনসার্টেনটি (জিইপিইউ) তীব্র মাত্রায় বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ২০২০-র জানুয়ারি থেকেই সোনা, রুপোর দামও অনেকটা ঊর্ধ্বমুখী হয়। বস্তুত, অন্য সম্পদের সঙ্গে তুলনায় দেখা গিয়েছে, সোনা থেকে গত বছর রিটার্ন মিলেছে অনেকটা বেশি।
সোনায় প্রচুর পরিমাণে লাভের হাতছানি থাকার ফলে দেশব্যাপী শুল্ক দপ্তরের অভিযানেও ব্যাপক মাত্রায় বেআইনি সোনা পাচার ধরা পড়ে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে সোনায় আমদানি শুল্ক কমলে তার চোরাপাচারও কমতে পারে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।