নয়াদিল্লি: কথায় বলে, মনিং শোজ দ্য ডে। আজ সকালে শেয়ার বাজার যেভাবে শুরু হয়েছিল। শেষও হল সেইভাবে। দেশের মূল দুটি ইকুইটি সূচকে ইতিবাচকভাবেই মঙ্গলবারের লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিনের সাধারণ বাজেটকে এভাবেই স্বাগত জানালেন লগ্নিকারীরা।


মঙ্গলবার বম্বে স্টক এক্সচেঞ্চ (বিএসই)-র সূচক ৮৪৮ পয়েন্ট বেড়েছে। মেটাল ও ক্যাপিটাল পণ্য স্টকগুলিতে ব্যাপক লেনদেন দেখা গিয়েছে এদিন। এরই হাত ধরে সূচকের ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এদিন যে সাধারণ বাজেট পেশ করেছেন, তাতে পরিকাঠামো বৃদ্ধির ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আর এতেই শেয়ার বাজারে লগ্নিকারী মনোভাব আরও ইতিবাচক হয়েছে। ফলে ওই শেয়ারগুলির লেনদেন ব্যাপক বেড়েছে।


বাজেট প্রস্তাব তো বটেই, সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিও দেশের শেয়ার বাজারে অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি করেছে।


দিনের লেনদেনের একটা সময় সেনসেক্স ৫৯,০৩২-এ পৌঁছে যায়। পরে তা ৮৪৮.৪০ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে ৫৮,৮৬২.৫৭ এ শেষ করে। এনএসই-র সূচক নিফটিও ২৩৭ পয়েন্ট বেড়ে ১৭,৫৭৬-এ শেষ করেছে।


সেনসেক্সে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছে টাটা স্টিলের শেয়ার। তা ৭.৫৭ শতাংশ বেড়েছে। সান ফার্মা, ইন্ডাসইন্ড ব্যাঙ্ক, এলঅ্যান্ডটি, আলট্রাসিমেন্ট ও এইচসিএল টেকের মতো আরও কিছু শেয়ারের দাম চড়েছে।


অন্যদিকে,  এমঅ্যান্ডএম, পাওয়ার গ্রিড, এসবিআই, ভারতী এয়ারটেল, এনটিপিসি, মারুতি ও রিলায়েন্সের শেয়ার সূচক লাল সঙ্কেতেই দিনের লেনদেন শেষ করেছে।


বৃহত্তর বাজারের ক্ষেত্রে বিএসই মিডক্যাপ ইনডেস্ক ১ শতাংশ বৃদ্ধি সহ লেনদেন শেষ করেছে। বিএসই স্মলক্যাপ সূচক ০.৯ শতাংশ বেড়ে লেনদেন শেষ করেছে।


সীতারামন এদিন যে ৩৯.৪৫ লক্ষ কোটি টাকার বাজেট পেশ করেছেন, তাদের হাইওয়ে থেকে শুরু করে সহজলভ্য আবাসনের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। অতিমারী বিধ্বস্ত অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তিগুলিকে গতি দেওয়ার দাবি বাজেটে করা হয়েছে।


অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দামে ওঠানামা অব্যাহত রয়েছে। আজ ব্রেন্ট ক্রড তেলের দাম ০.২৪ শতাংশ কমে হয়েছে প্রতি ব্যারেলে ৮৯.০৫ ডলার।