নয়াদিল্লি: বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Elections 2024)। তার আগে পূর্ণাঙ্গ বাজেট কেন্দ্রের। তাই জনমোহিনী ঘোষণা থাকবে বলে চর্চা চলছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। বুধবার সংসদে বাজেট পেশ হতেই মধ্যবিত্তের মনজয়ের চেষ্টা হয়েছে বলে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। আগামী অর্থবর্ষে করছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা বাড়িয়েছে কেন্দ্র (Union Budget 2023 India)। তাতে মুখে হাসি ফুটেছে মধ্যবিত্তের। বাড়ানো হয়েছে আবাস যোজনার বরাদ্দ। তাই নির্বাচনকে পাখির চোখ করে কেন্দ্র পরিকল্পনা মাফিকই এগিয়েছে বলে উঠছে দাবি (Budget 2023)।
করোনা প্রকোপ কাটলেও, এখনও পুরোপুরি স্থিতাবস্থা ফেরেনি অর্থব্যবস্থার। মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্বের ধাক্কায় নাজেহাল সাধারণ মানুষ। আবার আগামী অর্থবর্ষেও অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়ার সম্ভাবনা নেই বলে ইতিমধ্যেই ইঙ্গিত মিলেছে সমীক্ষায়। এমন পরিস্থিতিতে বাজেটে জনমোহিনী ঘোষণার পাশাপাশি, মধ্যবিত্তকে কাছে টানার চেষ্টা হয়েছে বলে একমত বিরোধী শিবির।।
আগামী অর্থবর্ষের বাজেটে যুবসমাজকে প্রশিক্ষিত করে তোলার জন্য চতুর্থ দফায় 'প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনা'র ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তার আওতায় দেশ জুড়ে ৩০টি কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে বলে জানান। তিন বছর প্রশিক্ষণ দিয়ে সেখান থেকে যুবসমাজকে যোগ্য করে তোলার কথা বলেন নির্মলা।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee : টাকা নেই বুঝি, লোকের পকেটমারি করতে হচ্ছে ! বাজেটের পর কেন্দ্রকে নিশানা মমতার
কৃষক আন্দোলন নিয়ে পরিস্থিতি উত্তাল হওয়ার পর এ বার কৃষকদের আয়বৃদ্ধির পথে কেন্দ্র হাঁটবে বলে মনে করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। বার্ষিক অর্থসাহায্য ৬ থেকে বাড়িয়ে ১২ হাজার করার পরামর্শও দেন অনেকে। কিন্তু সরাসরি অর্থ সাহায্য় না বাড়িয়ে এ দিন কৃষিনির্ভর স্টার্টআপের উপর জোর দেন নির্মলা। তার জন্য বিশেষ তহবিল তৈরির কথা বলেন, যেখান থেকে মৎস্যচাষ, দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদন এবং পশুপালনের জন্য কৃষি ঋণ বাবদ ২০ লক্ষ কোটি বরাদ্দের কথা জানানো হয়। কেন্দ্রীয় সরকার, কৃষি স্টার্টআপের জন্য বিশেষ তহবিল বানাচ্ছে।
দলীয় সংঘাত, নেতৃত্ব নিয়ে টানাপোড়েন ঘিরে কর্নাটকে এই মুহূর্তে বিজেপি-র সংগঠন একরকম ছত্রখান। সেই পরিস্থিতিতে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে সেখানে। সেই কথা মাথায় রেথেই কর্নাটকে সেচকার্যের উন্নয়নে ৫ হাজার ৩০০ কোটি বরাদ্দ করা হয়।
সেই নিয়ে সরব হয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, "ঘটা করে উজ্জ্বলা প্রকল্পের ঘোষণা হয়েছিল। আজ তার কোনও অস্তিত্বও নেই। বাজেটে বেকারদের জন্য কোনও প্রস্তাব নেই, বেকারত্ব দূরীকরণের কোনও প্রস্তাব নেই।" আগের লোকসভা নির্বাচনের আগে যে কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তা পূরণ তো হয়নি, উপরন্তু বেকারত্ব বেড়ে গিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন মমতা।
একই ভাবে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, ‘এই বাজেটে মূল্যবৃদ্ধি থেকে মুক্তির উপায় নেই। বরং এর জন্য মূল্যবৃদ্ধি আরও বাড়বে। বেকারত্ব দূর করার কোনও পরিকল্পনা নেই। শিক্ষাখাতে বরাদ্দ ২.৬৪ থেকে ২.৫ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া অত্যন্ত দুর্ভাগ্য়জনক। স্বাস্থ্যখাতেও বরাদ্দ ২.২ শতাংশ থেকে ১.৯৮ শতাংশ কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত ক্ষতিকর’।