International Yoga Day 2025 : কুরুক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী নায়াব সিং সাইনির সঙ্গে যোগাভ্যাস, বাবা রামদেব পথ দেখালেন
Baba Ramdev : ভারতের যোগাসন এখন বিশ্বের আঙিনায় জায়গা করে নিচ্ছে। এই যোগের প্রচারে অন্যতম ভূমিকা নিয়েছে পতঞ্জলি যোগ সংস্থা।

Baba Ramdev : এক যোগকে কেন্দ্র করে একত্রিত হচ্ছে সারা বিশ্ব। ভারতের যোগাসন এখন বিশ্বের আঙিনায় জায়গা করে নিচ্ছে। এই যোগের প্রচারে অন্যতম ভূমিকা নিয়েছে পতঞ্জলি যোগ সংস্থা। বাবা রামদেবের প্রচারের ফলস্বরূপ সুস্থ ভারতের স্বপ্ন দেখছে দেশ। ১১তম আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উপলক্ষে পতঞ্জলি যোগপীঠ কুরুক্ষেত্রে একটি জনসচেতনতামূলক প্রচার চালাচ্ছে। বাবা রামদেবের পরামর্শে, ২১ জুন ব্রহ্ম সরোবরে অনুষ্ঠিত হয়েছে এই অনুষ্ঠান।
পতঞ্জলি যোগপীঠ করেছে এই কাজ
১১তম আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উপলক্ষ্যে সেজে উঠেছিল পতঞ্জলি যোগপীঠ। যোগ নিয়ে বড় অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিল সংস্থা। হরিয়ানার ঐতিহাসিক ভূমি কুরুক্ষেত্রে পতঞ্জলি যোগপীঠ যোগাভ্যাসকে জীবনের রোগকার অভ্যাস হিসাবে তুলে ধরেছে। যোগগুরু বাবা রামদেবের নির্দেশে হরিয়ানা যোগ কমিশন ও আয়ুষ বিভাগের সহায়তায়, এই প্রচার ২১ জুন ব্রহ্ম সরোবরে মূল অনুষ্ঠানকে জাঁকজমকপূর্ণ ও ঐতিহাসিক করে তোলার লক্ষ্যে কাজ করেছে।
এই নিয়ে কী বলছে পতঞ্জলি
এই বিষয়ে পতঞ্জলি যোগ সমিতির ন্যাশনাল কো-অর্ডিনেটর রাকেশ কুমার বলেন, "এই বছরের অনুষ্ঠানে সারা দেশ থেকে যোগপ্রেমীদের ব্যাপক অংশগ্রহণ প্রত্যাশ করেছিল সংস্থা। তীব্র গরম সত্ত্বেও স্বেচ্ছাসেবকরা গ্রামে ও বাড়িতে ঘরে ঘরে গিয়ে যোগের উপকারিতা সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দিয়েছে। মূল অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য মানুষকে উৎসাহিত করার জন্য পিপলি, শাহাবাদ, পেহোয়া, থানেসর এবং লাডওয়ার মতো এলাকায় যোগ প্রশিক্ষণ সেশন, কমিউনিটি কর্মসূচি ও আমন্ত্রণমূলক অভিযান চালানো হয়েছে।"
এই শিবির জনসাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে
যোগ দিবসের এই অনুষ্ঠান নিয়ে রাকেশ কুমার বলেন, "জেলার স্কুল, কমিউনিটি সেন্টার ও পাবলিক প্লেসে যোগাসনের আয়োজন করা হয়েছে। রোদি শহীদান ও ইসমাইলবাদের কাছে আংরাওয়ালি ধামশালার মতো গ্রামে বিশেষ শিবির মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। এই শিবিরগুলি যোগাসনের শারীরিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক উপকারিতা, যেমন মাদকমুক্ত ও রোগমুক্ত জীবনের ওপর জোর দিয়েছে।"
এই অভিযান কুরুক্ষেত্রের ঐক্যকেও প্রতিফলিত করে
যোগ দিবসে মহিলাদের অংশগ্রহণ বাড়াতে শাহবাদ, জিন্দ ও সুশান্ত সিটির মতো এলাকায় সাধ্বী ও মহিলা প্রশিক্ষকদের দ্বারা বিশেষ অধিবেশন পরিচালনা করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া, দোকান থেকে স্কুলে সচেতনতামূলক কর্মসূচি এই উদ্যোগকে আরও প্রসারিত করেছে। প্রবীণ নাগরিক, যুব ও স্থানীয় আধ্যাত্মিক গুরুরা ব্রহ্ম সরোবরে এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য সম্প্রদায়গুলিকে উদ্বুদ্ধ করেছেন। এই অভিযান কেবল যোগের গুরুত্বই তুলে ধরে না বরং একটি সুস্থ ও সুষম জীবনধারা প্রচারে কুরুক্ষেত্রের ঐক্যকেও প্রদর্শন করে।























