Patanjali News: পতঞ্জলির স্বদেশি আন্দোলনই ভারতের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করছে, বাড়াচ্ছে আত্মনির্ভতাও- কীভাবে ? জানাচ্ছে সংস্থা
Patanjali Swadeshi Movement: পতঞ্জলির স্বদেশি আন্দোলন ভারতের 'মেক ইন ইন্ডিয়া' উদ্যোগের সঙ্গেই সম্পৃক্ত যেন। এই উদ্যোগ স্থানীয় কর্মসংস্থান ও উৎপাদনকে উৎসাহিত করে।

পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ দাবি করেছে যে এটি দেশীয় পণ্যের প্রচার এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করে তুলছে এবং একইসঙ্গে ভারতকে স্বনির্ভরতা আত্মনির্ভতার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। সংস্থার মতে, ভারতের দ্রুত বিকশিত অর্থনৈতিক দৃশ্যপটে পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ কেবল একটি ব্যবসায়িক সাফল্যের কাহিনি হিসেবেই উঠে আসেনি, বরং স্বদেশি আন্দোলনের মাধ্যমে স্বনির্ভরতা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রচারে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
সংস্থার জানিয়েছে যে তারা আয়ুর্বেদ, জৈব চাষ এবং দেশীয় পণ্যের প্রচারের মাধ্যমে ভারতকে একটি শক্তিশালী দেশ হিসেবে বিশ্বব্যাপী পরিচয় দিয়েছে। পতঞ্জলি বলেছে, ‘সংস্থা দন্তকান্তি, কেশকান্তি ও ঘি-এর মত আয়ুর্বেদিক পণ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল, যা তাদের সাশ্রয়ী মূল্য এবং প্রাকৃতিক উপাদানের কারণে গ্রাহকদের মধ্যে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল।
সংস্থার দাবি এটি কেবল বাজার প্রতিযোগিতাই বৃদ্ধি করেনি, বরং বিদেশি ব্র্যান্ডগুলিকে আয়ুর্বেদিক পণ্য চালু করতে অনুপ্রাণিত করেছে। এটি গ্রাহকদের দেশীয় ও প্রাকৃতিক পছন্দের সুযোগ দিয়েছে। এর ফলে সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহ্যবাহী সংযোগকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করেছে।
কাঁচামাল সংগ্রহের মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করা
সংস্থা আরও দাবি করে, ‘পতঞ্জলির নেতৃত্বে স্বদেশি আন্দোলন কেবল পণ্য বিক্রির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। বরং এটি একটি বৃহত্তর দর্শন যার লক্ষ্য অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক স্তরে পরিবর্তন আনা। স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি কাঁচামাল সংগ্রহ করে, পতঞ্জলি গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করেছে।’ সংস্থাটি বলেছে যে তারা তাঁর কারখানা, বিতরণ নেটওয়ার্ক, খুচরো বিক্রয় কেন্দ্রের মাধ্যমে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে। এটি বিভিন্ন রাজ্যে উৎপাদন ইউনিট স্থাপন করেছে যা স্থানীয় শিল্পের অগ্রগতিকে আরও ত্বরান্বিত করেছে।
সংস্থা আরও জানিয়েছে যে, ‘আয়ুর্বেদের পাশাপাশি পতঞ্জলি শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। পতঞ্জলি যোগপীঠ, পতঞ্জলি বিশ্ববিদ্যালয় এবং গুরুকুলের মত প্রাচীন প্রতিষ্ঠানগুলি প্রাচীন ভারতীয় জ্ঞানকে আধুনিক বিজ্ঞানের সঙ্গে একত্রিত করেছে।
সারা দেশের পতঞ্জলি আয়ুর্বেদিক হাসপাতাল এবং গবেষণা কেন্দ্রগুলি এমন চিকিৎসা পরিষেবা দিচ্ছে যা আয়ুর্বেদিক ও আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির মধ্যে সহযোগিতাকে উৎসাহিত করে।
অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতার দিকে পদক্ষেপ
পতঞ্জলি আরও বলেন, ‘বিদেশি ব্র্যান্ডের উপরে ভারতের নির্ভরতা কমাতে সংস্থাটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এফএমসিজি, স্বাস্থ্যসেবা, টেক্সটাইল এবং দুগ্ধজাত পণ্যের মত খাতে দেশীয় বিকল্প প্রবর্তনের মাধ্যমে এটি আমদানি কমাতে আর দেশের অভ্যন্তরে সম্পদ ধরে রাখতে সাহায্য করেছে। আর এটিই আর্থিক স্বনির্ভরতার দিকে বড় পদক্ষেপ।‘
সংস্থার দাবি, ‘সম্প্রতি পতঞ্জলি ফুডসের শেয়ার ৮.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা আর্থিক শক্তির ইঙ্গিত দেয়। সংস্থার বোর্ড বোনাস শেয়ার ইস্যু করার বিষয়ে বিবেচনা করার জন্য ১৭ জুলাই ২০২৫ তারিখে একটি বৈঠক আয়োজন করেছিল’।






















