Demat Account: স্টক বা মিউচুয়াল ফান্ডে যে সমস্ত বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করেন, তাঁদের জন্য ডিভিডেন্ড একটি বাড়তি পাওনা বলা যায়। মূলত কোনও সংস্থা যা লাভ করে ব্যবসায়, তাঁর একটি অংশ ডিভিডেন্ড হিসেবে শেয়ার হোল্ডারদের মধ্যে বণ্টন করে দেয়। উপার্জন, সংস্থার আর্থিক সঙ্গতি ইত্যাদি নানা বিষয়ের উপর এই ডিভিডেন্ড বণ্টন (Dividend Credit) নির্ভর করে। মূলত ত্রৈমাসিকে বা ৬ মাস অন্তর কোনও সংস্থা ডিভিডেন্ড ঘোষণা করে আর সেই মত শেয়ার হোল্ডারদের অ্যাকাউন্টে এই ডিভিডেন্ডের টাকা জমা হয়ে যায়। কিন্তু এই পদ্ধতিটি ঠিক কী রকম ? কী কী ধাপে জমা হয় ডিভিডেন্ড জানেন ?
বিনিয়োগকারীদের জন্য খুবই জরুরি এই প্রক্রিয়াটা সরলভাবে বুঝে নেওয়া। যখন কোনও সংস্থা ডিভিডেন্ড (Dividend Credit) ঘোষণা করে, তখন আপনার ডিম্যাট অ্যাকাউন্টের সঙ্গে লিঙ্ক করা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সেই টাকা আপনা থেকেই জমা হয়ে যায়। দেখে নিন কী কী ধাপে জমা হয় ডিভিডেন্ডের টাকা।
ডিভিডেন্ড ঘোষণা
যখন কোনও সংস্থা তাঁদের লাভের একটি অংশ ডিভিডেন্ডের মাধ্যমে বণ্টনের ঘোষণা করে, তখন একটি রেকর্ড ডেটের উল্লেখ করা হয়। এই দিনের মধ্যে যারা যারা সেই সংস্থার শেয়ার কিনবেন, বা কিনে রেখেছেন কেবলমাত্র তারাই ডিভিডেন্ড পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
যোগ্য শেয়ার হোল্ডারের যাচাইকরণ
সংস্থা বা তাঁর রেজিস্ট্রার রেকর্ড ডেটের আগে যে সমস্ত বিনিয়োগকারী শেয়ার কিনেছেন তাঁর হিসেব পরখ করে শেয়ার হোল্ডারদের যাচাই করে দেখে নেয়, ঠিক কারা কারা এই ডিভিডেন্ড পাবেন।
ডিভিডেন্ড মূল্যের নির্ধারণ
ডিভিডেন্ড (Dividend Credit) কত দেওয়া হবে তা নির্ভর করে অনেকগুলি ফ্যাক্টরের উপর। যেমন – কত লাভ হয়েছে সংস্থার, বিনিয়োগকারীদের কাছে কত শেয়ার আছে ইত্যাদি। তাঁর উপর শেয়ারপিছু ডিভিডেন্ডের মূল্য ধরা হয়।
ডিভিডেন্ড জমার পদ্ধতি
ডিভিডেন্ড মূল্য নির্ধারণের পর তা সরাসরি চলে যায় ডিপোজিটরি পার্টিসিপ্যান্ট বা ট্রান্সফার এজেন্টের সঙ্গে যুক্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের কাছে।
নোটিফিকেশন যাবে
ডিভিডেন্ড (Dividend Credit) ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ক্রেডিট হলে ব্যাঙ্কের তরফ থেকে একটি নোটিফিকেশন যাবে শেয়ার হোল্ডারদের কাছে। এর সঙ্গে কোনও কর কাটার হলে তাও একইসঙ্গে জানা যাবে।
বিনিয়োগকারীদের ডিম্যাট অ্যাকাউন্টের স্টেটমেন্টে এই ডিভিডেন্ড অ্যামাউন্ট দেখা যাবে। ডিভিডেন্ড হিসেবে কত টাকা পেয়েছেন তিনি তাও উল্লেখ থাকবে।