নয়াদিল্লি: বাজেট অধিবেশনের আগে বড় ঘোষণা কেন্দ্রীয় সরকারের। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী এবং পেনশনভোগীদের বেতনের কাঠামোয় সংশোধন আনতে অষ্টম বেতন কমিশনে অনুমোদন দিল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বৃহস্পতিবার এই ঘোষণা করলেন। তবে অনুমোদন মিলেছে বলে জানানো হলেও, কবে থেকে অষ্টম বেতন কমিশন কার্যকর হবে, তার দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা হয়নি। (8th Pay Commission)


অষ্টম বেতন কমিশনে অনুমোদন মিলেছেন বলে বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেন অশ্বিনী।  এর ফলে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বেতন এবং পেনশনভোগীদের প্রাপ্ত টাকা আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। এতে উপকৃত হবেন লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মী এবং পেনশনভোগীরা। (Central Government Employees Salary


অষ্টম বেতন কমিশনের আওতায় কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বেতন এবং পেনশনভোগীদের প্রাপ্তিতে কী কী পরিবর্তন আনা হবে, যা এখনও নিশ্চিত ভাবে জানা যায়নি। তবে সপ্তম বেতন কমিশনের নিয়মাবলী সংশোধন করা হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। অষ্টম বেতন কমিশন চালুর আগে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে, যারা সবকিছু খতিয়ে দেখছে।


তবে এখনও পর্যন্ত যা খবর মিলেছে, সেই অনুযায়ী, অষ্টম বেতন কমিশনের আওতায় বেতনের বৃদ্ধি বা হ্রাস নির্ভর করবে কর্মীর দক্ষতার উপর। বেতন বৃদ্ধি বা হ্রাসের ক্ষেত্রে মুদ্রাস্ফীতিকেও মাপকাঠি হিসেবে ধরা হতে পারে। কর্মীদের দক্ষতাকে এগিয়ে রাখা হতে পারে, যাকে সরকারের পরিভাষায় 'ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর' বলা হচ্ছে। এতদিন তার মাপকাঠি ছিল ২.৫৭, আগামীতে বেড়ে ২.৮৬ হতে পারে। এর ফলে কর্মীদের বেসিক বেতন বাড়তে পারে। সেই নিরিখে হিসেব করে বাড়বে পেনশন।


২০১৬ সালে সপ্তম বেতন কমিশন চালু করে কেন্দ্র। তাতে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বেতনের পরিকাঠামোয় বেশ কিছু রদবদল আসে। সেই সময় ন্যূনতম বেসিক বেতন বাড়িয়ে ১৮০০০ টাকা করে দেওয়া হয়। মন্ত্রিসভার সচিবদের ক্ষেত্রে বেসিক সর্বোচ্চ বেড়ে হয় ২.৫ লক্ষ। গ্র্যাচুইটি সিলিংও বেড়ে হয় ২০ লক্ষ টাকা।


২০০৬ সালে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের আওতায় ন্যূনতম বেসিক ৭০০০ এবং সর্বোচ্চ বেসিক বেতন ৮০ হাজার হয়। গ্র্যাচুইটি সিলিং ১০ লক্ষ টাকা করা হয় বাড়িয়ে। তাই অষ্টম বেতন কমিশনের আওতায় বেতন এবং পেনশন অনেকটাই বাড়তে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় বাজেটের আগে এই সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন সকলে। কারণ মুদ্রাস্ফীতির জেরে এই মুহূর্তে জেরবার অবস্থা সাধারণ মানুষের। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে যাওয়ায় প্রভাব পডছে অর্থনীতিতেও। তাই সরকারি কর্মীদের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।