কলকাতা : রাজ্যে ২০২৩-এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়বে আম আদমি পার্টি (Aam Admi Party)। একথা জানিয়ে দিলেন দলের এরাজ্যের ইনচার্জ সঞ্জয় বসু (Sanjay Basu)। হাইকমান্ডের নির্দেশে ইতিমধ্যেই দলের লোকাল ইউনিটগুলি কাজ শুরু করে দিয়েছে।
দিল্লির গণ্ডি ছাড়িয়ে প্রথমবার পাঞ্জাব দখল করেছে আম আদমি পার্টি। এবার অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নজর অন্য রাজ্যে । বিশেষ নজর বাংলায়। পাঞ্জাব জয়ের পরে বাংলাতেও সংগঠন বিস্তারে উদ্যোগ নিয়েছে আম আদমি পার্টি।
বৃহস্পতিবার ৫ রাজ্যে ভোটের ফল ঘোষণার পরদিন থেকেই জেলায় জেলায় দেখা যাচ্ছে আম আদমি পার্টির সক্রিয়তা। রবিবার গিরিশ পার্ক থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত পদার্পণ যাত্রা করেন আম আদমি পার্টির কর্মীরা। বিভিন্ন জেলায় পড়েছে পোস্টার। মিশন বাংলার শুরুতে কেজরিওয়ালের দলের লক্ষ্য, আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা।
আম আদমি পার্টি-র এরাজ্যের মুখপাত্র বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব এই রাজ্যে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কেজরিওয়ালের ভাল সম্পর্ক। কিন্তু এখানে রাজনৈতিক লড়াই হবে।
রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ফিরহাদ হাকিম বলেন, আপের মনে হয় না এখানে তেমন কিছু আছে। তবে কোনও দল এসে কর্মসূচি করতেই পারে। খুব বেশি প্রভাব পড়বে বলে মনে হয় না।
কলকাতার পাশাপাশি জেলাতেও তৎপর আম আদমি পার্টি। মালদার ইংরেজবাজারে লিফলেট বিলি করে প্রচার শুরু করে দিয়েছে তারা। কোচবিহার শহর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জেও ছড়িয়ে পড়েছে আম আদমি পার্টির পোস্টার। সদস্য হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিলি করা হচ্ছে লিফলেট। উত্তর চব্বিশ পরগনার বারাসাতেও দেখা যায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দেওয়া পোস্টার। যেখানে লেখা, নোংরা রাজনীতিকে করতে সাফ, বাংলায় এবার আসছে আপ। মালদার রতুয়া ২ নম্বর ব্লকের পর এবার রতুয়া ১ নম্বর ব্লকে শুরু হয়েছে সদস্য সংগ্রহ অভিযান।
গতানুগতিক ধারা থেকে সরে গিয়ে বাংলার রাজনীতিতে অন্য বিকল্পের সন্ধান দিতেই জোরকদমে ময়দানে নেমেছে কেজরিওয়ালের দল। যদিও তাকে খুব একটা গুরুত্ব দিতে চাইছে না তৃণমূল।
তৃণমূলের রাজ্যসভার সদস্য শান্তনু সেন বলেন, ৩৪ বছরের সিপিএমের অপশাসনকে বদলে একটা নতুন রাজনৈতিক অর্থনৈতিক সামাজিক বদলের পরিবর্তন ছিল। মমতা যেদিন ২০১১ সালে ২০ মে যখন দায়িত্ব নিলেন তখন বাংলায় সেই নতুন বদল হয়েছে। এখন যে বদল দরকার সেটা ভারতবর্ষের মসনদে বদল দরকার।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলছেন, অন্য রাজ্যে জিতে এসে এখানে পদযাত্রা করলে দল তৈরি হয়ে যাবে, এইভাবে পশ্চিমবঙ্গে রাজনীতি হয় না। আমি তো কেজরিওয়ালকে স্বাগত জানাব, আসুন পশ্চিমবঙ্গে। গ্রামে যান, দুধেল গাইদের দু-চারটে ধাক্কা খান, তখন বুঝতে পারবেন, এখানে ঝাঁড়ু দিয়ে রাজনীতি হয় না।
সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, তৃণমূলের পরিকল্পনা গোয়া ও ত্রিপুরায় ভেস্তে গেছে। আপও মনে করছে তৃণমূল সর্বভারতীয় হলে, আমরা কেন পারব না।
বুধবার পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন ভগবন্ত মান। তার আগে রবিবার ভাবী মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে অমৃতসরে রোড শো করেন আম আদমি পার্টির জাতীয় আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরিওয়াল।