সন্দীপ সরকার, কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, দুর্গাপুরের ক্যাম্প থেকে আইনজীবীদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথাও বলেছেন অভিষেক। অর্ডার কপি হাতে পেলেই দ্রুত সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হবে, খবর সূত্রের।


হাইকোর্টে জোর ধাক্কা খেয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বেঞ্চ বদলেও ধাক্কা অভিষেকের। স্বস্তি তো মেলেইনি, উল্টে জরিমানার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।  হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার রায় দিয়েছেন, 'কুন্তলের চিঠি মামলায় অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে সিবিআই-ইডি।' বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশই বহাল রেখেছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। খারিজ হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ পুনর্বিবেচনা বা প্রত্যাহারের আর্জি ফেরালেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। পাশাপাশি ২৫ লক্ষ টাকা করে অভিষেক-কুন্তলের জরিমানা। অবিলম্বে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে জরিমানার টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে কেন্দ্রীয় এজেন্সি, এমনটাই নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এজলাস বদলে মামলা আসে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে।


বিজেপির তুলোধনা:
বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'রায় প্রত্যাশিত ছিল।' এর আগেও সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। তারপর এজলাস বদল হয় হাইকোর্টে। তারপরেও একই রায় দিয়েছেন বিচারপতি। ফের সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া নিয়ে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতা।


তৃণমূলের প্রশ্ন:
তৃণমূল নেতা শান্তনু সেন বলেন, 'কোর্টের রায় নিয়ে কিছু বলব না। কিন্তু সাধারণ মানুষ প্রশ্ন করছে কুন্তল ঘোষ বলছেন যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নিতে বাধ্য করছে। তখন অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু সারদা কাণ্ডে সুদীপ্ত সেন একাধিক বিরোধী নেতার নামে চিঠি দিলেও তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না।' নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বলে জানিয়েছেন তিনি। 


এর আগে আদালতে ঢোকার মুখে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন কুন্তল ঘোষ। দলের নেতাদের নাম বলতে বলপূর্বক চাপ দিচ্ছে এজেন্সি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরও নাম বলানোর চেষ্টা হচ্ছে, বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। এছাড়া শহিদ মিনারের সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, হেফাজতে থাকার সময় মদন মিত্র, কুণাল ঘোষকে তাঁর নাম নিতে বলেছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সেই সুরেই কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে নিশানা করেন কুন্তলও। 


আরও প্রশ্ন: মোবাইল হারিয়েছে? এক ক্লিকেই ব্লক ফোন! খুঁজেও পাবে পুলিশ!