কলকাতা: কয়লাকাণ্ডে (Coal Scam Case) ফের তলব করা হয়েছে তাঁকে। তার জন্য দিল্লি রওনা দিলেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। আর দিল্লি রওনা দেওয়ার আগে তদন্তে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে গেলেন তিনি। অভিষেকের কথায়, “আমার বিরুদ্ধে ১০ পয়সার দুর্নীতিও প্রমাণ করতে পারবে না। অথচ প্রকাশ্যে কাগজে মুড়িয়ে নির্লজ্জ ভাবে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে যাঁদের, তাঁদের ইডি-সিবিআই ডাকে না। সে ক্ষেত্রে চোখে ছানি পড়ে যাচ্ছে।”


এ প্রসঙ্গে সারদা এবং নারদকাণ্ডের প্রসঙ্গও টেনে আনেন অভিষেক। জানান,  সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেন খোদ প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন। তাতে একাধিক ব্যক্তির নাম তুলে ধরেছিলেন তিনি। তা সত্ত্বেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তিমনি বিজেপি বিরোধী দল করেন বলেই বেছে বেছে তাঁকে নিশানা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলেন অভিষেক।


কয়লাপাচারকাণ্ডে সম্প্রতি ফের সস্ত্রীক অভিষেককে দিল্লিতে তলব করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate/ED)। সেই মতো রবিবার দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। বিমানবন্দরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন।  বলেন, “বাংলায় হেরে বিজেপি-র গাত্রদাহ হচ্ছে। আমরাও এর শেষ দেখে ছাড়ব। কলকাতায় ইডি-র দফতর রয়েছে। এখানে কেন ডাকছে না? চার দিন আগে আমার চোখে অস্ত্রোপচার হয়েছে। তা নিয়েই দিল্লি ছুটতে হচ্ছে। আমরা মাথা উঁচু করে বাঁচতে জানি। এর শেষ দেখে ছাড়ব।”



আরও পড়ুন: Sukanta Majumdar: রানাঘাটে বিজেপি সাংসদের ওপর হামলা প্রসঙ্গে তৃণমূলকে আক্রমণ সুকান্তর । Bangla News


প্রয়োজনে তিনি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানিয়ে দেন অভিষেক। তাঁর সাফ বক্তব্য, “উচ্চ আদালতে যাওয়ার রাস্তা খোলা রয়েছে। আমি সুপ্রিম কোর্টে যাব। এ সব করে আমাদের মাথা নত করানো যাবে না। মাথানত যদি করতেই হয়, তাহলে মানুষের সামনে করব, বিজেপি-র সামনে নয়। তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছে বিজেপি। বাংলায় হার সহ্য হচ্ছে না ওদের।”


কয়লাকাণ্ডে অভিষেক এবং তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সোম-মঙ্গলবার নাগাদ হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ইডি। তার এক দিন আগেই যদিও দিল্লি রওনা দিলেন অভিষেক। এর আগেও তাঁদের দফায় দফায় তলব করা হয়। তার বিরুদ্ধে আদালতে গিয়েছিলেন দম্পতি। দিল্লির পরিবর্তে কলকাতায় জিজ্ঞাসাবাদের আর্জি জানিয়েছিলেন। সম্প্রতি ফের দিল্লিতে তলব করায় ক্ষোভ উগরে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও। এ ভাবে তৃণমূলকে রোখা যাবে না বলে জানিয়ে দেন তিনি।