হিন্দোল  দে, সোনারপুর: কলকাতার কাছে সোনারপুরের খেয়াদায়, বালি চুরির পর্দাফাঁস। এবিপি আনন্দে খবর সম্প্রচারের পরেই ঘটনাস্থলে গেল পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হল লরি, মাটি কাটার যন্ত্র। এই ঘটনায় লরি অ্যাসোসিয়েশনের কর্তা পাঁচু মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। সোনারপুরের বিডিও, ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিককে নিয়ে অভিযান চালাচ্ছে জেলা প্রশাসন। সিল করে দেওয়া হচ্ছে বেআইনি বালি খাদান। 


কলকাতার কাছে সোনারপুরের খেয়াদায়, বালি চুরির পর্দাফাঁস হল। এবিপি আনন্দর অন্তর্তদন্তে উঠে এল মারাত্মক ছবি! সেখানে পৌঁছে দেখা গেল, ভারী ভারী যন্ত্র দিয়ে মাটি কেটে, বিঘার পর বিঘা জমি থেকে চলছে সাদা বালি তোলা।


কথায় বলে পুকুর চুরি! কিন্তু, এতো রীতিমতো পুকুর কেটে বালি চুরি! জেলার প্রত্য়ন্ত এলাকা নয়, কলকাতার একেবারে কাছে, সোনারপুরের খেয়াদাতেই রমরমিয়ে চলছে বেআইনি বালির কারবার। ভারী ভারী যন্ত্র দিয়ে মাটি কেটে, বিঘার পর বিঘা জমি থেকে চলছে সিলভার স্য়ান্ড বা সাদা বালি তোলার কাজ!


পর পর দাঁড়িয়ে রয়েছে ভারী ভারী মাটি কাটার যন্ত্র! পুকুরের মাঝে বসানো রয়েছে, শক্তিশালী পাম্প। আর এদিয়েই সবার চোখের সামনে চুরি হয়ে যাচ্ছে বালি। রাতের অন্ধকারে নয়, একে বারে দিনে-দুপুরে!


পুলিশ-প্রশাসনকে টাকা দিতে হয়? তাহলেই অবৈধ ব্যবসায় ছাড়? এরকম কত বাপি ঘুরে বেড়াচ্ছে খেয়াদায়। তাদের একের পর এক অবৈধ বালির খাদান। আমরা পৌঁছে গেছিলাম খেয়াদা মোড়ের কাছে, পঞ্চাননতলায়। অভিযোগ, এখানে অবৈধ বালি খাদান চালান দিলীপ মণ্ডল। 


স্থানীয়দের দাবি, গড়িয়া স্টেশন থেকে যে রাস্তা টালি নালা বরাবর খেয়াদার দিকে গেছে, আগে এখান দিয়েই বয়ে যেত বিদ্যাধরী নদী। পরে নদী গতিপথ বদলায়। ফলে সোনারপুরে খেয়াদার বিস্তীর্ণ এলাকার মাটির একটু নিচেই রয়েছে বালির স্তর। আর, সেটাতেই নজর বালি মাফিয়ার। 


বালি চুরিতে তৃণমূল যোগ? জেলা প্রশাসনের উপর দায় চাপিয়ে বারুইপুর পুলিশ জেলার এসপি জানিয়েছেন, বালি খাদান এখানে চলে, এরকম কোনও তথ্য আমার কাছে নেই। যদি, থাকে তাহলে জেলা শাসক-সহ প্রশাসন দেখবে। এটা পুলিশের দেখার বিষয় নয়। পুলিশের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আসছে, সেটা খতিয়ে দেখা হবে।


দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, অবৈধ বালি খাদানের কোনও খবর প্রশাসনের কাছে নেই। এর আগে, যখন খবর এসেছিল, তখন অভিযান চালানো হয়েছিল। আবারও অভিযান চালানো হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।