পুরুলিয়া : ১০০ ঘণ্টা পর রেল অবরোধ প্রত্যাহার করা হল । ৫ দিনের মাথায় রেল অবরোধ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিল অবরোধকারীরা। বহু দুর্ভোগ, হয়রানি এই কদিনে সহ্য করতে হয়েছে রাস্তায় আটকে পড়া মানুষদের। অবশেষে, রেল অবরোধ প্রত্যাহার করল আদিবাসী কুড়মি সমাজ।
আলোচনায় সমাধান ?
জানা গিয়েছে, ৩ জেলার ডিএমের সঙ্গে বৈঠকের পর জট কাটে। আদিবাসী উন্নয়ন দফতরের সঙ্গে আলোচনার পর অবরোধ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে আগামী দিনে তাঁদের দাবি না মিটলে, আবারও আন্দোলনের পথে যেতে পারেন তাঁরা। আজ পাঁচদিনে পড়েছিল কুড়মিদের বিক্ষোভ-আন্দোলন।
পুরুলিয়ার কুস্তাউর ও পশ্চিম মেদিনীপুরের খেমাশুলি স্টেশনে রেল অবরোধ চলছিল। খেমাশুলিতে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কেও চলছিল অবরোধ। ঝাড়গ্রামের লোধাশুলিতে জাতীয় সড়কের পাশাপাশি অবরুদ্ধ রাজ্য সড়কও। অবরোধের জেরে ট্রাক, লরি, বাসের কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ লাইন। চরম ভোগান্তির শিকার হয় সাধারণ মানুষ। খাবার, জল পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন ট্রাক, লরির চালকরা।
মঙ্গলবার থেকে কুড়মি আন্দোলনের জেরে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়গপুর-টাটা ও চাণ্ডিল-আসানসোল সেকশনে ব্যাহত হয় ট্রেন চলাচল। আজ পর্যন্ত আড়াইশোর কাছাকাছি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি দূরপাল্লার ট্রেন বাতিলের পাশাপাশি কয়েকটি ট্রেনের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। বহু ট্রেন ঘুরপথে চালানো হচ্ছে। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, বিক্ষোভকারীদের বোঝানোর চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি, রাজ্য সরকারকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বাতিল হয়,
রাঁচি-খড়গপুর এক্সপ্রেস, টাটানগর-হাওড়া স্টিল এক্সপ্রেস, হাওড়া-বারবিল জনশতাব্দী এক্সপ্রেস, হাওড়া-তিতলাগড় ইস্পাত এক্সপ্রেস, খড়গপুর-ঝাড়গ্রাম-পুরুলিয়া মেমু স্পেশাল, টাটানগর-আসানসোল মেমু স্পেশাল, আদ্রা-পুরুলিয়া মেমু প্যাসেঞ্জার, আসানসোল-রাঁচি মেমু প্যাসেঞ্জার, বোকারো স্টিল সিটি-আসানসোল মেমু প্যাসেঞ্জার, পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম মেমু প্যাসেঞ্জার, ধানবাদ-ঝাড়গ্রাম মেমু এক্সপ্রেসের মতো বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন।
কুড়মি বিক্ষোভ নিয়ে রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন দিলীপ ঘোষ। কুড়মিদের ইন্ধন জোগানো হচ্ছে বলে মত প্রকাশ করেন দিলীপ। 'রাস্তা আটকে দেওয়া হয়েছে। যারা ওদের রাস্তায় নামিয়েছিল, তাদের এখন সরে গেছে। কেন্দ্র বিষয়টা দেখছে। '