জয়দীপ হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ঝাড়খন্ড (Jharkhnad) লাগোয়া সীমান্ত থেকে রাজ্যের শেষপ্রান্ত নামখানা বকখালি (Bakkhali) সমুদ্র সৈকত চলে এসেছিলেন মানসিক ভারসাম্যহীন (Mentally Unstable) এক মহিলা। তারপর মাঝে কেটে গিয়েছে ৩৭ বছর। বকখালি সমুদ্র সৈকতই (Bakkhali sea beach) ছিল ভবঘুরে ওই মহিলার আস্তানা। অবশেষে নিজের পরিবারের কাছে ফিরলেন ভবানী বাউরি। 


জানা গিয়েছে, তাঁর বাড়ি পুরুলিয়া (Purulia) ঝাড়খন্ড লাগোয়া সীমান্তে। স্থানীয় সূত্রে খবর, ভবানী বাউরি প্রায় ৩৭ বছর আগে পুরোপুরি মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় নামখানাতে এসেছিলেন। নিজের বাড়ি কোথায়, পরিবারে কারা রয়েছেন কোনও কিছুই বলতে পারেননি তিনি। 


প্রথমে নামখানা ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতেন। গত ২৫ বছর ধরে ছিলেন বকখালিতেই। সেখানকার এক ব্যবসায়ী বানেশ্বর মণ্ডলের বাড়িতেই থাকতেন ভবানীদেবী। বানেশ্বর এবং তার পরিবারের সেবায় ভবানীদেবী এখন আগের থেকে অনেকটাই সুস্থ। অল্প হলেও মনে করতে পারছিলেন পুরনো কথা। বকখালিতে বেড়াতে আসা এক পর্যটকের তৎপরতায় ভবানী বাউরির অসহায়তার কথা পৌঁছয় হাম রেডিও স্টেশনে। এরপরই ভবানীদেবীর পরিবারের হদিশ মেলে। বেশ কয়েক দিন চেষ্টা চালিয়ে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা সুন্দরবন পুলিশ। তাঁকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।  


আজ সুন্দরবন পুলিশ সুপারের অফিসে আসেন ভবানী বাউরির স্বামী উমাপদ বাউরী। স্বামীকে দেখেই চিনতে পারেন তিনি। উমাপদ জানিয়েছেন, তাঁদের দুই মেয়ে রয়েছে। ৩৭ বছর আগে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে ভবানী বাউরী। চিকিৎসাও চলছিল। হঠাৎ করে একদিন বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান ভবানী। তারপরে আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। 


তবে ইতিমধ্য়েই আরও একবার বিয়ে করে ফেলেছেন ভবানী বাউরির স্বামী। তিনি জানাচ্ছেনস মেয়ে দুটোকে মানুষ করার জন্য আমি আবার দ্বিতীয় বিয়ে করি। ৩৭ বছর পর থানা থেকে আমাকে ডাকা হয়। ভবানী বাউরির ছবি আমাকে দেখানো হয়। ছবি দেখে আমি  চিনতে পারিনি ভবানীকে। তবে দীর্ঘদিন পর ভবানীকে ফিরে পেয়ে খুশি বাউরি পরিবার।