কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে অযোগ্যদের চাকরি বাতিলের পর, ৫১ জন চাকরিপ্রার্থীকে আজ নিয়োগপত্র দেবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এর আগে মেধাতালিকা না মেনে নিয়োগপত্র দেওয়ার অভিযোগ ওঠায়, তা বাতিল করা হয়। করোনাকালে (Covid 19) এই ১০২ জনকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল। নিয়োগপত্র পাওয়ার পরেও কেউ স্কুলে যোগ না দেওয়ায় রহস্য দানা বাধে।
প্রথমে ৫৩, বুধবার ১৪০, এর পর বৃহস্পতিবার আরও ৫৯ জন। প্রাথমিকে, আরও ৫৯ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্তে অনড় ছিল হাইকোর্ট। এমনকি তাঁদের বেতন বন্ধের নির্দেশও বহাল রাখলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। ২০১৪’র প্রাথমিকে টেটে(TET) ভুরি ভুরি দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। বেআইনিভাবে বাড়তি এক নম্বর করে দেওয়ার পাশাপাশি ফেল করে, এমনকি পরীক্ষা না দিয়ে, ২৬৯ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পেয়েছেন বলেও অভিযোগ সামনে আসে। গত বছরের ১৩ জুন, সেই ২৬৯ জন প্রাথমিক শিক্ষককে বরখাস্ত ও বেতন বন্ধের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এরপর বরখাস্ত হওয়াদের একাংশ সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেন।
কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চও বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশেই সিলমোহর দেয়। সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন মামলাকারীরা। ২০২২-এর ১৮ অক্টোবর, সর্বোচ্চ আদালত ২৬৯ জনের চাকরি বাতিলের ওপর স্থগিতাদেশ দেয়। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, কলকাতা হাইকোর্ট ২৬৯ জনকে মামলায় যুক্ত করবে। এরই মধ্যে হাইকোর্টের নির্দেশে, চাকরি ফিরে পান একজন। ফলে ২৬৯ থেকে সংখ্যাটা কমে দাঁড়ায় ২৬৮।
এই পরিস্থিতিতে গত ২৩ ডিসেম্বর, ৫৩ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ বহাল রাখেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবার আরও ১৪০ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন তিনি। আর বৃহস্পতিবার আরও ৫৯ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্তে অনড় থাকল হাইকোর্ট। এ নিয়ে মোট ২৫২ জন প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল করা হল।
চাকরির বৈধতা প্রমাণে ব্যর্থ হওয়ায় প্রাথমিকে আরও ৫৯ শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। তাঁদের বেতন বন্ধের নির্দেশও বহাল রেখেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এ নিয়ে মোট ২৫২ জন প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল করা হল।
প্রাথমিকে আরও ১৪০ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্তে বহাল রাখেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এর আগে আরও ৫৩ জনের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। এ নিয়ে বেআইনিভাবে নিয়োগ হওয়া মোট ১৯৩ জনের চাকরি বাতিল করা হল।