কলকাতা: লোকসভা ভোটের আগে ২০ সদস্যের নির্বাচনী কমিটি ঘোষণা করল বঙ্গ বিজেপি। সেই তালিকায় রয়েছেন সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী, বাংলা থেকে চারজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিন্হা। তবে সেই তালিকায় নাম নেই মিঠুন চক্রবর্তীর (Mithun Chakraborty)। 


২০২৬-এ বিধানসভা নির্বাচন হল। কিন্তু বিজেপির পাখির চোখ লোকসভা নির্বাচন (Parliament Election 2024)। তখনই বাংলা দখল করলে মরিয়া বিজেপি। বঙ্গ নেতৃত্বকে ৪২টি আসনের মধ্যে ৩৫টিতে জেতার টার্গেট বেধে দিয়েছেন অমিত শাহ।  


তারমধ্যেই বারবার প্রকাশ্যে এসেছে বিজেপির ঘরের কোন্দল। কখনও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় সম্পাদকের গলায় ভিন্ন সুর শোনা গিয়েছে। কখনও নিচু তলার কর্মীদের গণ ইস্তফার সিদ্ধান্ত। এই আবহেই ২০ সদস্যের নির্বাচনী কমিটি ঘোষণা করল বঙ্গ বিজেপি। 


কারা রয়েছেন সেখানে?
তালিকায় রয়েছেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার, নিশীথ প্রামাণিক, শান্তনু ঠাকুর, জন বার্লা ছাড়াও রয়েছেন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিন্হারা। রয়েছেন সাংসদ ও রাজ্য সাধারণ সম্পাদক লকেট চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, বিধায়ক ও রাজ্য সাধারণ সম্পাদক অগ্নিমিত্রা পাল, দীপক বর্মন, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সংগঠন অমিতাভ চক্রবর্তীর নামও। 


কমিটিতে নেই পাননি মিঠুন চক্রবর্তী। একসময় তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ থাকলেও, গত বিধানসভা ভোটের মুখে কলকাতায় নরেন্দ্র মোদির সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। দলের প্রচারে অন্যতম মুখও হয়ে উঠেছিলেন। ২০২২ সালে রাজ্য কোর কমিটিতে জায়গাও পেয়েছিলেন মিঠুন। কিন্তু, লোকসভা নির্বাচনী কমিটিতে জায়গা হল না তাঁর।


রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত, পার্টি যখন ঠিক করেছে, তখন সেটাই শেষ কথা। পার্টি নির্দিষ্ট গাইডলাইন মেনে, তারা ইলেকশন কমিটি তৈরি করেছে। যাঁরা নির্বাচনটা জানেন, বোঝেন, যাদের নির্দিষ্ট ভূমিকা থাকবে, তাদের কথা চিন্তা করেই করেছেন।'


বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের রাজ্য সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, 'বিজেপির এমনিই অনেক কমিটি আছে, সুকান্ত কমিটি, শুভেন্দু কমিটি, নব্য বিজেপি, আদি বিজেপি, এই কমিটি করে কিছু হবে, সংগঠন দরকার। যে সংগঠন নামক জিনিসটার বিজেপির নেই।'


বিজেপি সূত্রে খবর, গত ডিসেম্বরে যখন একই দিনে অমিত শাহ ও জে পি নাড্ডা কলকাতায় এসেছিলেন, তখনই এই নির্বাচনী কমিটি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কমিটিতে অমিত মালব্য, সুনীল বনসল, মঙ্গল পাণ্ডে, আশা লাকড়ার মতো চার পর্যবেক্ষককে আমন্ত্রিত সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।


আরও পড়ুন: 'দল থাকলেই রোজগার হবে', দলীয় কর্মীদের কেন হুঁশিয়ারি লাভলির?