অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: কুয়াশার কারণে তিন মাসের জন্য তিস্তা-তোর্সা এক্সপ্রেস (Teesta Torsha Express) বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তে, ক্ষোভের আঁচ আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar)। ভরা পর্যটনের মরসুমে রেলের (Indian Railway) ভূমিকায় প্রশ্ন তুলেছেন ব্যবসায়ীরা। সরব হয়েছে তৃণমূল (TMC)-বিজেপি (BJP)। পুনর্বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন পূর্ব রেলের জিএম। বেড়ানোর মরশুমেই তিন মাসের জন্য বন্ধ হচ্ছে তিস্তা-তোর্সা এক্সপ্রেস। রেল জানিয়েছে কুয়াশার কারণে, পয়লা ডিসেম্বর থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ রাখা হবে এই ট্রেন। কলকাতা থেকে আলিপুরদুয়ার যাওয়ার জন্য তিনটে ট্রেন রয়েছে। তবে শিয়ালদা, নবদ্বীপ, কাটোয়া, আজিমগঞ্জ, ফারাক্কা হয়ে উত্তরবঙ্গে আসার একমাত্র ট্রেন তিস্তা তোর্সা।


ভরা পর্যটনের মরশুমে রেলের এই সিদ্ধান্তে বেজায় ক্ষুব্ধ আলিপুরদুয়ারের পর্যটন ব্যবসায়ীরা। জলদাপাড়ার পর্যটন ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, "শীতের সময় ট্রেন বন্ধ রাখার ফলে ডুয়ার্সের পর্যটন মার খাবে। এই রুটের একমাত্র ট্রেন। উত্তরবঙ্গ বঞ্চিত হবে।" শিয়ালদা থেকে দুপুরে ছেড়ে তিস্তা-তোর্সা আলিপুরদুয়ার ঢোকে পরের দিন সকালে। শীতের সময় ভোরের দিকে উত্তরবঙ্গ থাকে ঘন কুয়াশা। এই যুক্তি দেখিয়ে তিন মাসের জন্য ট্রেন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়ায়, রেলকে তীব্র আক্রমণ করেছে তৃণমূল। সরব হয়েছে বিজেপিও।


আরও পড়ুন, ফের ঊর্ধ্বমুখী পারদ, মঙ্গলবার দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস


 তৃণমূল নেতা ও প্রাক্তন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব বলেন,  "কেন্দ্রের উচিত ছিল আধুনিক টেকনোলজি আনার, যাতে কুয়াশায় ট্রেন চলে। লকডাউনের সময় স্পেশাল নাম দিয়ে রেলের দ্বিগুন ভাড়া নিয়েছে, লুটেরাদের সরকার। আলিপুরদুয়ারের বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল বলেন, "পর্যটন ধাক্কা খাবে। ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়বে। রেলের জিএমকে পূনরায় বিবেচনা করার আর্জি জানিয়েছি। উনি আশ্বাস দিয়েছেন।" 


এই পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার অরুণ অরোরা। তিনি বলেন, "কুয়াশার কারণে বাতিল করা হয়েছে ট্রেন। তবে আমরা পূনর্বিবেচনা করে দেখছি। আশাকরি আপনারা ভালো খবরই পাবেন দ্রুত। রেল-কর্তার আশ্বাসের পর, তিস্তা-তোর্সা কি ডিসেম্বরে ট্র্যাকে ফিরবে? তা নিয়ে চর্চায় আলিপুরদুয়ারবাসী।