অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: আলিপুরদুয়ার জংশন ডিভিশনে লাইনে বিদ্যুদয়নের কাজ শেষ। আজই সূচনা হল বৈদ্যুতিক ইঞ্জিন দিয়ে ট্রেন চালানোর। নিউ আলিপুরদুয়ার স্টেশন থেকে বৈদ্যুতিক ইঞ্জিন নিয়ে ছাড়ল কলকাতাগামী তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেস। 


আলিপুরদুয়ার জংশন ডিভিশনে রেলের ডবল লাইনের কাজ শেষ হয়েছে আগেই। ওই লাইনে বিদ্যুদয়নের কাজও শেষ। এবার শুরু হল বৈদ্যুতিক ইঞ্জিনের সাহায্যে ট্রেন চলাচল। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ার জংশন ডিভিশনে মেন লাইন এর আগে সিঙ্গল ছিল। ভরসা ছিল ডিজেল ইঞ্জিন। মাঝপথে সেই ইঞ্জিন বদলাতে গিয়ে অনেকটা সময় নষ্ট হত বলে রেল সূত্রে খবর।  


আলিপুরদুয়ার জংশন ডিভিশনে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ লাইনে বিদ্যুদয়ন শেষ হওয়ার পর শুক্রবার শিয়ালদাগামী তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেস নিউ আলিপুরদুয়ার স্টেশন থেকে বৈদ্যুতিক ইঞ্জিন দিয়ে চালানো হল। 


অলিপুরদুয়ার ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার দিলীপকুমার সিংহ জানিয়েছেন, রেলের গতি বাড়বে। তিস্তা কতোর্সা যেমন আরও ১৪টি ট্রেন কয়েকদিনের মধ্যে এই ডিভিশনে বৈদ্যুতিক ইঞ্জিন দিয়ে চালানো হবে


আলিপুরদুয়ারের বিজেপি নেতা ও বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলালের কথায়, ইতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে পেরে আনন্দিত।  কবে রেলের গতি বাড়বে তার অপেক্ষায় চিলাম। এতে যাত্রার সময় কমবে। ট্রেনের গতি বাড়বে জেনে খুশি যাত্রীরা। 


তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেসের যাত্রী অর্ঘ্য মিত্র জানিয়েছেন, ট্রেনের গতি বাড়বে। ডিজেল ইঞ্জিনের থেকে ইলেকট্রিক ইঞ্জিনের গতি বেশি। যাত্রার সময় কমবে।
এই লাইনে এবার বৈদ্যুতিক ইঞ্জিনের ব্যবহার বাড়বে। ট্রেন যাত্রার সময় কমলে পর্যটনেও তা উত্‍সাহ জোগাবে বলে আশা রেলের। 


সম্প্রতি কার্শিয়ং থেকে মহানদী পর্যন্ত ফের চালু হয়েছে টয় ট্রেন পরিষেবা। মাত্র ৮ কিলোমিটার রাস্তায় এই পরিষেবার নাম রেড পাণ্ডা। সপ্তাহের ২ দিন মিলবে এই পরিষেবা।


৬ বছরের মাথায় ফিরেছে ‘হিমালয়া অন হুইলস’। ফের আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথে টয় ট্রেনের কু ঝিক ঝিক। নতুন রূপে মিলছে বন্ধ হয়ে যাওয়া  পরিষেবা, পোশাকি নাম রেড পাণ্ডা। সম্প্রতি কার্শিয়ং থেকে মহানদী পর্যন্ত টয় ট্রেন পরিষেবা চালু করল দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে। 


রেল সূত্রে খবর, প্রায় ৮ কিলোমিটার রাস্তায় প্রতি শনি ও রবিবার ছুটবে টয় ট্রেন। ওই দু’দিন কার্শিয়ং থেকে সকাল ১১.১৫ মিনিটে ছাড়বে ট্রেন। মাঝে গিদ্দা পাহাড়ে বেশ কিছুক্ষণের জন্য থামবে ট্রেন। রাইড শেষ হবে মহানদী স্টেশনে। পর্যটনের মরশুমে অর্থাৎ মার্চ থেকে জুন ও অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মাথা পিছু ভাড়া ১,২০০ টাকা। বছরের বাকি সময় টিকিটের দাম হাজার টাকা।