আলিপুরদুয়ার: মায়ের বদলে শিশুকে ইঞ্জেকশন! অভিযুক্ত আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের নার্স। আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখায় বাড়ির লোকেরা। অভিযোগ স্বীকার করেছেন হাসপাতাল সুপার। পাশাপাশি ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত নার্সকে শোকজ করা হয়েছে। আপাতত অবজারভেশনে রাখা হয়েছে শিশুকে, জানালেন হাসপাতাল সুপার। 


সুপারকে খুনের হুমকি: ভুয়ো বিল পাস না করায়, কাটোয়া হাসপাতালের সুপারকে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ঠিকাদার। ভুয়ো বিলের তদন্ত শুরু করেছে স্বাস্থ্য দফতর।


কাঠগড়ায় ঠিকাদার: কাটোয়া হাসপাতালের সুপারকে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে কাঠগড়ায় এক ঠিকাদার।  কাটোয়া হাসপাতালের সুপারের অভিযোগ, বিল বাকি থাকায় তাঁকে হোয়াটসঅ্যাপে ওই রকম মেসেজ পাঠিয়ে হুমকি দিচ্ছেন ঠিকাদার কিংশুক মণ্ডল। অভিযুক্ত ঠিকাদারের দাবি,হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৭৫ লক্ষ টাকার বিল আটকে রাখায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। মামলাটি আদালতে বিচারাধীন। বকেয়া বিল-বিতর্কে সুপারের পাশে দাঁড়িয়েছে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি। অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার হাসপাতালে আসে স্বাস্থ্য দফতরের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ভুয়ো বিলের তদন্ত শুরু হয়েছে। পাশাপাশি, ২০১৫-’২০ এই ৫ বছরে হাসপাতালে আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগেও তদন্ত চলছে।  


মালদায় কুসংস্কার, মৃত্যু রোগীর: সাপের কামড় (Snake Bite), রোগীমৃত্যু (death) ও কুসংস্কার (superstition)! মালদার (Malda) একটি ঘটনা দেখিয়ে দিল, চিকিৎসার (treatment) বিষয়ে এখনও কতটা অন্ধকারে রাজ্যের বহু মানুষ। এদিনের ঘটনার কেন্দ্রে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। সাপের কামড়ে মৃত এক ব্যক্তিকে সেখান থেকে জোর করে বাড়ি নিয়ে গিয়ে ওঝাকে (Ojha) তলব করেন আত্মীয়রা। পরে পুলিশ (police) গিয়ে দেহ ফিরিয়ে আনে।


কী ঘটেছিল? পুলিশ সূত্রে খবর,সাপের কামড়ে মৃত ওই ব্যক্তির নাম রবি। আত্মীয়রা সাত সকালে তাঁর দেহ হাসপাতাল থেকে জোর করে ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বাধা দেন মালদা মেডিকেলের কর্মীরা। একপ্রস্ত ধুন্ধুমার হয় সেই সময়, হাতাহাতি পর্যন্ত গড়ায় বিষয়টি। শোনা যাচ্ছে, মান্ধাতার আমলের বিশ্বাস থেকেই মৃত যুবকের 'চিকিৎসার'জন্য ওঝা তলব করা হয়েছিল। খবর পেয়ে পুলিশ রবির বাড়ি পৌঁছয়। পরে হাসপাতালে ফিরিয়ে আনা হয় দেহটি। এদিনের অশান্তির প্রেক্ষিতে মালদা মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল জানিয়েছেন, যাঁরা এই কাজ ঘটিয়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু সাপের কামড়ে মৃতের জন্য ওঝা তলবের এই প্রবণতা বিজ্ঞানমনস্ক ব্যক্তিদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলছে। শুধু মালদা নয়, রাজ্যের নানা প্রান্তে আজও মাঝেমধ্যেই চিকিৎসাকেন্দ্রের পরিবর্তে এই ধরনের রোগীকে ওঝার কাছে নিয়ে যাওয়ার খবর শোনা যায়। আর এখানে তো মৃত্যুর পরও ওঝার উপর আস্থা রাখার ঘটনা ঘটেছে। চলতি মাসের গোড়াতেও উত্তর চব্বিশ পরগণায় এক সাপে কাটা রোগীকে ওঝার কাছে নিয়ে আসা হয়েছিল। উল্লেখ্য এর আগেও মৃত্যু হয়েছে সাপের কামড়ে।