গৌতম মন্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: দক্ষিণ ২৪ পরগনায় খোকা ইলিশ (Hilsa) নিলামে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল মৎস্য দফতরের বিরুদ্ধে। সরকারি নিয়মে ২৩ সেন্টিমিটারের কম দৈর্ঘ্যের ইলিশ ধরা আইনত দণ্ডনীয়।
মৎস্যজীবী সংগঠনের অভিযোগ, খোকা ইলিশ বেআইনিভাবে নিলাম করেছে মৎস্যদফতর। ৩৪ লক্ষ ৬০ হাজার টাকায় নিলাম হলেও সরকারি খাতায় দেখানো হয়েছে মাত্র ৫০ হাজার টাকা। এই দুর্নীতির অভিযোগে মৎস্য দফতর ঘেরাও ও আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে মৎস্যজীবীদের সংগঠন। নিলামে ত্রুটির কথা মানলেও, দুর্নীতির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন মৎস্য দফতরের সহ অধিকর্তা। মুখ্যমন্ত্রীকেও অভিযোগ জানিয়েছে তারা। উল্টে আইন মেনে কাজ করায় তাঁকে অন্যায়ভাবে চাপ দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
উত্তর থেকে দক্ষিণ... কলকাতার অধিকাংশ বাজারেই খোকা ইলিশের ছড়াছড়ি। প্রায় সর্বত্রই মিলছে ১০০ থেকে ২০০ ওজনের মাছ। ইলিশ বাঁচাতেই, দীর্ঘদিন ধরে খোরা ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তার জন্য় মাছ ধরার সময় বড় আকারের জাল ব্য়বহার সহ একাধিক নির্দেশিকা রয়েছে। কিন্তু কোথায় সে সব? বাজারে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে খোকা অর্থাৎ ছোট ইলিশ। দাম কোথাও সাড়ে তিনশো তো কোথাও ৪০০ টাকা কেজি।
আরও পড়ুন, মাটিতে মিশে গেল পৃথিবীবিখ্যাত UNESCO হেরিটেজ, ৬.৮ তীব্রতায় কেঁপে উঠল মরক্কো, কমপক্ষে ২৯৬ জনের মৃত্যু
কলকাতার বাজার ছেয়েছে খোকা ইলিশে। ছোট ইলিশ ধরায় প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বাজারে এত ছোট ইলিশের জোগান কীভাবে? উঠছে প্রশ্ন।
বাঙালির রসনাতৃপ্তিতে ইলিশের জুড়ি মেলা ভার। রয়েছে সরকারি নিষেধাজ্ঞা। তবু ভরা বর্ষায় শহরের বিভিন্ন বাজারে বিকোচ্ছে খোকা ইলিশ। উত্তরে মুচিবাজার হোক বা দক্ষিণের গড়ফা বাজার। বাজারে উঁকি দিলেই দেখা মিলবে ছোট ছোট রূপোলি শস্যের। দেদার বিক্রি হচ্ছে ১০০-২০০ গ্রামের ইলিশ। বিভিন্ন আড়ৎ থেকে খোকা ইলিশ কিনে বাজারে বিক্রি করছেন মাছ বিক্রেতারা। কিন্তু, সরকারি নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ছোট ইলিশ বাজারে আসছে কীকরে? নেহাতই ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী যোগান, নাকি নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ?