শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: অঞ্চল সভাপতিকে না জানিয়ে সভা করার অভিযোগ উঠল জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে। কোচবিহারে (cooch behar) ফের প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের দুই নেতার সংঘাত। তুফানগঞ্জ (tufanganj) অন্দরন ফুলবাড়ি ২ নম্বর অঞ্চল সভাপতি দুলাল চক্রবর্তীর অভিযোগ, তাঁকে অন্ধকারে রেখেই গতকাল এলাকায় সভা করেন জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়। সেই সভায় বিজেপির সঙ্গে হাত মেলানো তৃণমূল কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন বলে অঞ্চল সভাপতির অভিযোগ। বিক্ষুব্ধ নেতার দাবি, এ ধরনের ঘটনায় দলের অন্দরে সংঘাত আরও বাড়বে। অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূল জেলা সভাপতির দাবি, ওই এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় উত্সাহী কর্মী, সমর্থকরা তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চান। সেই কারণেই তিনি সেখানে বক্তব্য রাখেন। 


এর আগে তৃণমূলের আরও একটি গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের খবর প্রকাশ্যে এসেছিল। ১০০ দিনের কাজে বঞ্চনার অভিযোগে মালদার মানিকচকে পঞ্চায়েত অফিসে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল সদস্যের বিরুদ্ধে। চৌকি মিরদাদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। পঞ্চায়েতের প্রধান বিজেপির ও উপপ্রধান তৃণমূলের। তাঁদের অভিযোগ, ১০০ দিনের প্রকল্পে কম টাকার কাজ দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করে গতকাল পঞ্চায়েত অফিসে ভাঙচুর চালান তৃণমূল সদস্য শেখ মহতাব। ভাঙচুরের অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল সদস্যের পাল্টা দাবি, ১০০ দিনের প্রকল্পে সমবণ্টন হয়নি। তার প্রতিবাদ জানাতে পঞ্চায়েত অফিসে যান। মানিকচক থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।


চৌকি মির্জাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিজেপি দলের এবং উপপ্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের। সবকিছু ভাঙচুরের জন্য দায়ী করা হয়েছে চৌকি মিরদাদপুর গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য শেখ মাহাতাব কে। তাঁর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ রয়েছে যে তিনি পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন। তাঁর সঙ্গে সঙ্গে তিনি উপ প্রধান সাজিদ এবং অপর পঞ্চায়েত সদস্য অভিরাম মন্ডলকেও অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেছেন। তার এই সমস্ত কথা রেকর্ড রয়েছে। 


আরো পড়ুন: পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগের সাব ইন্সপেক্টরের