কৃষ্ণেন্দু অধিকারী ও রুমা পাল, কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড়ের মধ্যেই ২০১৪ ও ২০১৭ সালের টেট (Tet) উত্তীর্ণদের সঙ্গে পৃথকভাবে বৈঠক করলেন শিক্ষামন্ত্রী (Education Minister)। বৈঠক ইতিবাচক দাবি করেও, সকলের নিয়োগের নিশ্চয়তা দিতে পারেননি ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। অন্যদিকে নিয়োগপত্র না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলনে অনড় চাকরিপ্রার্থীরা।  


নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি! আদালতের নির্দেশে আগেই চাকরি গিয়েছে পরেশ-কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর (Ankita Adhikari)। এবার টেট পাস না করেও, প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের বিরুদ্ধে। 



এই প্রেক্ষাপটে বুধবার শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলাদা আলাদা ভাবে বৈঠক করলেন ২০১৪ ও ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণ চাকরি প্রার্থীরা। বৈঠককে ইতিবাচক বললেও, সকলের চাকরির নিশ্চয়তা দিতে পারলেন না শিক্ষামন্ত্রী। অন্যদিকে, নিয়োগপত্র না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় চাকরিপ্রার্থীরা। 


২০১৪’এর টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, ২০২০ সালে নবান্নের ঘোষণা অনুযায়ী টেট উত্তীর্ণ ১৬ হাজার ৫০০ জনকে  ধাপে ধাপে নিয়োগ করার কথা বলা হয়।এখনও পর্যন্ত ১০ হাজার জন নিয়োগপত্র পেলেও, বাকিদের নিয়োগ হয়নি। 


এর আগে ২৯ জুলাই SSC-র আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিনই অভিষেকের অফিসের বাইরে তাঁর সঙ্গে দেখা করার জন্য জড়ো হন ২০১৪’র টেট উত্তীর্ণরা। 


যদিও সেদিন বৈঠক হয়নি। পরের দিন তাঁদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয় পুলিশ। এই প্রেক্ষাপটে এদিন শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে নিয়োগের দাবি জানালেন আন্দোলনকারীদের ৬ প্রতিনিধি।


এদিকে ২০১৭ সালে ফের প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। তার পরীক্ষা হয় ২০২১ সালে। ফল বেরোয় ২০২২-এর ১০ জানুয়ারি। চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, পাস করেন ৯ হাজার ৮৯৬ জন। কিন্তু অভিযোগ, এখনও নিয়োগ মেলেনি। এই পরিস্থিতিতে তাঁরাও এদিন বৈঠকে বসেন শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে। 


যদিও এদিন দু’দফায় আলোচনার পর, সকলের চাকরির আশ্বাস দিতে পারেননি ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, ''সবার চাকরি হবে, আগে থেকে বলব না। আইন মেনে করব। আইনের বাইরে যাব না। কোনও দিনক্ষণ আমি দিতে পারব না।''


প্রাথমিক থেকে উচ্চপ্রাথমিক, SSC---একাধিক ক্ষেত্রে নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন চলছে। কিন্তু সকলেরই এক প্রশ্ন, নিয়োগপত্র মিলবে কবে?


টেট পাস না করেই চাকরি


এদিকে, অভিযোগ যে টেট পাস করেননি অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা, বাড়িতেই আসত রেজিস্টার। প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পেয়েছেন, কোনওদিন স্কুলে যাননি। হাজিরার রেজিস্টার পাঠানো হত অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে। বোলপুরের কালিকাপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি পেয়েছেন সুকন্যা। হাইকোর্টে অভিযোগ মামলাকারীর আইনজীবী ফিরদৌস শামিমের। কালকের মধ্যে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকাকে রেজিস্টার নিয়ে হাজিরার নির্দেশ। তবে শুধু সুকন্যাই নয়, চাকরি পেয়েছেন অনুব্রতর আরও ৫ আত্মীয়। 


আরও পড়ুন: টেট পাস না করেই চাকরি অনুব্রত-কন্যার ? স্কুলে না গিয়েই প্রতি মাসে বেতন !