রাজর্ষি দত্তগুপ্ত, নয়াদিল্লি : পূর্বাঞ্চল নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক আপাতত বাতিল। আসছেন না কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ( Amit Shah ) । রাজ্যের প্রশাসনিক হেড কোয়ার্টারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর ( Mamata Banerjee ) বৈঠক আপাতত হচ্ছে না বলেই খবর। 


কেন হচ্ছে না বৈঠক
আগামী ৫ নভেম্বর পূর্বাঞ্চল পরিষদের বৈঠক উপলক্ষে রাজ্যে আসার কথা ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। সেখানে বাংলা, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা - এই চার রাজ্যের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার বিষয়ে আলোচনার কথা ছিল শাহর। বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা ছিল দেশের পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের। বৈঠকে মাওবাদী সংক্রান্ত সমস্যা, তা প্রতিহত করার বিষয়টিও উঠে আসার কথা ছিল। তবে আগামী মাসে হচ্ছে না বৈঠক। পরবর্তীকালে বৈঠকের দিনক্ষণ স্থির হবে বলে সূত্রের খবর। মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে ওই সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর 'কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর জরুরি কাজ' পড়ে যাওয়ায় হচ্ছে না বৈঠক।  


নবান্নে পূর্বাঞ্চল নিরাপত্তা বিষয়ক পরিষদের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে সেখানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল অমিত শাহের । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই কমিটির ভাইস চেয়ারপার্সন। 


দিনক্ষণ জানানো হবে নির্দিষ্ট সময়েই
প্রশাসন সূত্রে খবর, পরে এই বৈঠক হবে। দিনক্ষণ জানানো হবে নির্দিষ্ট সময়েই। হরিয়ানার সূরজকুণ্ডে সব রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে চিন্তন শিবিরের বৈঠকে হাজির ছিলেন না এ রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গের হয়ে বৈঠকে প্রতিনিধিত্ব করেন রাজ্য পুলিশের DG (হোমগার্ড) নীরজকুমার সিং, যিনি এই মুহূর্তে ADG পদ মর্যাদার অফিসার।


ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ক্ষয়ক্ষতি পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর ঝটিকা সাক্ষাত ঘিরে ঝড় উঠেছিল রাজ্য রাজনীতিতে! আর বৃহস্পতিবার, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে সব রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক ঘিরে জল গড়ায় রাজনৈতির ময়দানে। বৃহস্পতিবার থেকে হরিয়ানার সুরজকুণ্ডে শুরু হয় দু’দিনের বৈঠক। এখানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে সব রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের বিস্তারিত আলোচনা হওয়ার কথা।  বৈঠকে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রী যাঁদের হাতে স্বরাষ্ট্র দফতরও রয়েছে, তাঁরা উপস্থিত ছিলেন।অবিজেপি মুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে আম আদমি পার্টি শাসিত পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান, এবং বাম শাসিত কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন উপস্থিত ছিলেন। দু’জনেরই হাতেই রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর রয়েছে। তবে বৈঠকে উপস্থিত হননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 


সেখানেই অমিত শাহ মন্তব্য করেন, ' ২০২৪ সালের মধ্যে দেশের সব রাজ্যে এনআইএ-র দফতর খোলা হবে। '  তাঁর দাবি, মোদি সরকার সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে। সন্ত্রাস-দমনেই এজেন্সি গুলিকে আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে বলে দাবি অমিত শাহর।


শাহর এই ঘোষণার সমালোচনায় মুখর হয়েছে তৃণমূল শিবির। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, ' ফের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আঘাত হানছে মোদি সরকার, আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়, কেন্দ্র হস্তক্ষেপের চেষ্টা করছে'