কলকাতা: অটোমেটিক সিগন্যালে ত্রুটিতেই ফাঁসিদেওয়ায় ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা (Kanchanjunga Express Train Accident )? সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, ভোর ৫.৫০ থেকেই খারাপ ছিল অটোমেটিক সিগন্যাল সিস্টেম। একই পথে জোড়া ট্রেনকে স্টেশন মাস্টারের ম্যানুয়াল মেমো দিয়েছিলেন। যদিও প্রাথমিকভাবে রেলের দাবি, মালগাড়ির চালকের ভুলেই এই ঘটনা ঘটেছে।
দুর্ঘটনার নেপথ্যে কী কারণ?
সাতসকালে ফের ট্রেন দুর্ঘটনার খবর। এবার দুর্ঘটনার কবলে শিয়ালদামুখী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। ভয়াবহ এই রেল দুর্ঘটনায় বাড়ছে মৃতের সংখ্য়া। এখানেই প্রশ্ন উঠছে কার ভুলে ঘটে গেল এই দুর্ঘটনা। এই আবহে সামনে আসছে অটোমেটিক সিগন্যাল খারাপের তত্ত্ব। জানা গিয়েছে, রানিপাত্র থেকে ছত্তরহাট জংশন পর্যন্ত খারাপ ছিল সিগন্যাল। রেলের এক অফিসারকে উদ্ধৃত করে দাবি পিটিআই জানিয়েছে, এদিন সকাল ৮টা ২৭ মিনিটে রাঙাপানি স্টেশন পার করে কাঞ্জনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। সকাল ৮টা ৪২ নাগাদ একলাইনে এসে এক্সপ্রেসকে ধাক্কা মারে ঘাতক মালগাড়ি। সূত্রের খবর, অটোমেটিক সিগন্যালে বিভ্রাটের জেরে TA912 নামে ম্যানুয়াল মেমো জারি করেছিলেন স্টেশন মাস্টার। যার অর্থ লাল সিগন্যাল থাকলেও চালক ট্রেন নিয়ে এগোতে পারবেন। তবে নিয়ন্ত্রিত গতিতে। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের ক্ষেত্রে ১০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় গতি বেঁধে দেওয়া হয়। সিগন্যাল খারাপ থাকলে প্রতি সিগন্যালে এক মিনিট করে দাঁড়ানোর নিয়ম।
মালগাড়িকেও ম্যানুয়াল মেমো?
অটোমেটিক সিগন্যাল খারাপ থাকার পরেও কীভাবে ওই একই লাইনে ঢুকল মালগাড়ি-কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস? এখানেই প্রশ্ন উঠছে, মালগাড়িকেও কী দেওয়া হয়েছিল ম্যানুয়াল মেমো? নাকি সিগন্যাল উপেক্ষা করেই এগিয়ে গিয়েছিল ঘাতক মালগাড়ি?
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।