শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: কলকাতা থেকে কোচবিহার আরও একটি উড়ান চালু হওয়ার অপেক্ষা। পুজোর পরেই চালু হতে চলেছে কলকাতা-কোচবিহার ও কোচবিহার-গুয়াহাটি উড়ান। গতবারের মতোই এবারও উড়ান চালুর কৃতিত্ব কার, তা নিয়ে বিজেপি (BJP) ও তৃণমূলের (TMC) মধ্যে শুরু হয়েছে দড়ি টানাটানি। (Coochbehar Kolkata Flight)
কোচবিহার থেকে কলকাতা- এবার চালু হচ্ছে দ্বিতীয় উড়ান। মাত্র ৭ মাসের মধ্যে কোচবিহার থেকে কলকাতা, আরও একটি উড়ান চালু হতে চলেছে। সড়কপথে কোচবিহার থেকে কলকাতা দূরত্ব ৭০০ কিলোমিটার। ট্রেনে এই পথ পেরোতে সময় লাগে ১৩-১৪ ঘণ্টা। আর আকাশপথে লাগবে ২ ঘণ্টা।
মঙ্গলবার দ্বিতীয় উড়ান চালু করা নিয়ে জেলাশাসকের দফতরে বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে আশার কথা শোনা যায় জেলাশাসকের মুখে। কোচবিহারের জেলাশাসক পবন কাদিয়ান বলেন, 'বিমান চালুর ব্যাপারে কথা হয়েছে, এটা বেশি আসনের হবে, তাড়াতাড়ি চালু হয়েছে, ফেব্রুয়ারিতে আরেকটি চালু হয়েছিল, তার পাশাপাশি এটা চলবে।'
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, কোচবিহার থেকে কলকাতা ও কোচবিহার থেকে গুয়াহাটি ২০ আসনের উড়ান চালু হতে চলেছে। এর আগে ৯৪ সাল পর্যন্ত কোচবিহার থেকে কলকাতা উড়ান চালু ছিল। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর চালু হয়েও তা বন্ধ হয়ে যায়।
চলতি বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় উড়ান প্রকল্পের মাধ্যমে ফের এই রুটে বিমান চলাচল শুরু হয়। এখন সপ্তাহে প্রতিদিনই ৯ আসনের বিমান চলাচল করে। এবার কোচবিহার দ্বিতীয় উড়ান চালু করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান। কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, 'এখান থেকে অনেক মানুষ বিমানে যেতে চায়, কোচবিহার-গুয়াহাটি আগে থেকে চালু হওয়ার কথা ছিল। ওটাও চালু হোক বলেছি)
উড়ান চালুর কৃতিত্ব নিয়ে শুরু হয়েছে তরজাও। কোচবিহার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বসু, 'রাজ্য সরকার চেষ্টা করেও চালাতে পারেনি। নিশীথের উদ্যোগে বিমান চলছে। এটা লোকসভা ভোটের আগে চমক দেওয়ার চেষ্টা। তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র পার্থপ্রতিম রায় বলেন, 'উড়ান রিজিওনাল কানেক্টিভিটি স্কিমে চালু হয়েছে। রাজ্য সরকারের একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। বিজেপির এক-দুজন নেতা কৃতিত্ব নেবে সেটা মানুষকে বোকা বানানো।'
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, কোচবিহার থেকে দ্বিতীয় উড়ান চালু করা নিয়ে ইতিমধ্যেই বেসরকারি উড়ান সংস্থার সঙ্গে কথা হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে পুজোর পরেই পরিষেবা চালু হতে পারে।