কলকাতা: দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর দিল্লি যেতেই হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal)। গরুপাচার মামলার তদন্তে ফের তাঁর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। মাত্র ছয় দিনে অনুব্রত প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকার সম্পত্তি কেনেন বলে দাবি তদন্তকারীদের। শুধু তাই নয়, বীরভূমের (Birbhum News) তৃণমূল (TMC) সভাপতি অনুব্রত, এই পুরো লেনদেনই নগদে সারেন বলে দাবি করা হয়েছে। এত টাকা কোথা থেকে হাতে পেলেন অনুব্রত উঠছে প্রশ্ন (cattle Smuggling Case)।


অনুব্রতর লেনদেনের বেশ কিছু নথি হাতে এসেছে ইডি-র


গরুপাচারের টাকায় অনুব্রত সম্পত্তি কেনেন বলে আগে থেকেই দাবি করছিল ইডি। দিল্লিতে অনুব্রতকে হেফাজতে পেয়ে সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। তাতেই অনুব্রতর লেনদেনের বেশ কিছু নথি তাঁদের হাতে এসেছে, যা হাতে পেয়েছে এবিপি আনন্দও। তাতে দেখা গিয়েছে, ২০১৪ সালের ১০ নভেম্বর থেকে ১৭ নভেম্বরের মধ্যে, ছয় দিনে সাড়ে ৬ কোটির সম্পত্তি কেনেন অনুব্রত। 


আরও পড়ুন: Anubrata Mondal: ইডি হেফাজতে ভোট ম্যানেজার, বীরভূম নিয়ে উদ্বেগ তৃণমূলে, চওড়া হচ্ছে ফাটল!


ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, বোলপুরের কালিকাপুর মৌজায় কেনা হয়েছিল ওই সমস্ত জমি। কিন্তু নগদে এত টাকা কোথা থেকে এল, প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে ইডি-ও। তদন্তকারীদের দাবি, ভোলে ব্যোম চালকলকে সামনে রেখে স্ত্রী ছবি মণ্ডলের নামে ওই সমস্ত জমি কেনেন অনুব্রত। নিজের নামেও কেনেন জমি। 


বাজারের দামের থেকে ডিড ভ্যালু কম দেখানো হয়!


ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, ২০১৬ সালে নিজের নামে দেড় কোটি টাকার সম্পত্তি কেনেন অনুব্রত। ইডি-র দাবি, বাজারের দামের থেকে ডিড ভ্যালু কম দেখানো হয়েছে কেনাবেচায়। ২৩ লক্ষ টাকার সম্পত্তিকে ৮ লক্ষ টাকার বলে দেখানো হয়েছে, খবর ইডি সূত্রে।


সূত্রের খবর, অনুব্রতর কাছ থেকে মূলত টাকার উৎস সম্পর্কে জানতে চাইছে ইডি। কয়েক বছরের মধ্যে কী ভাবে রকেটের গতিতে অনুব্রতর সম্পত্তি বেড়েছে, টাকা কোথা থেকে এসেছে, রাজনৈতিক নেতা অনুব্রতর রোজগারই বা কী, এসবই জানতে চাইছেন ইডি-র তদন্তকারীরা।


সূত্রের খবর, অনুব্রত ও তাঁর মেয়ে সুকন্যার রাইস মিলের অ্যাকাউন্টে কীভাবে কোটি কোটি টাকা এল, তা জানতে চাওয়া হবে। পাশাপাশি, অনুব্রতর পরিচারক বা কর্মী, যাঁরা কয়েক হাজার টাকা বেতন পান, তাঁদের অ্যাকাউন্টে কীভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা এল, সেটাও ইডি-র প্রশ্ন। অনুব্রত-ঘনিষ্ঠদের বয়ানকে সামনে রেখেই বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতিকে জেরা করছেন ইডি-র তদন্তকারীরা।