সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা : গরুপাচার মামলায় এবার সিবিআইয়ের নজরে উঠে আসছে একের পর এক নাম। বিপুল সম্পত্তির হদিশ মিলেছে  অনুব্রত মণ্ডলের বডিগার্ড থেকে কন্যার নামে। এবার আরেকটি নাম চর্চার কেন্দ্রে। তিনিও বীরভূমের এই দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতার 'ঘনিষ্ঠ ' । নাম, বিদ্যুৎবরণ গায়েন। তিনি অনুব্রতকে ডাকেন বাবা বলে ! প্রায়ই তাঁর ঘনিষ্ঠ বৃত্তের মধ্যে দেখা যায় গায়েনকে। সিবিআইয়ের স্ক্যানারে এবার অনুব্রতকে বাবা বলে ডাকা সেই বিদ্যুৎবরণ গায়েনও। 


কারণ কী 


 গরুপাচার মামলায় সিবিআইয়ের নজরে রয়েছেন অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎবরণ গায়েনও। ২০১১-য় তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরই তিনি ফুলেফেঁপে ওঠেন। একসময় বোলপুর পুরসভার গাড়ির খালাসি হিসেবে কাজ করা বিদ্যুৎ ২০১১ সালে বোলপুর পুরসভায় স্থায়ী চাকরি পান। তাঁরও বিপুল সম্পত্তির হদিশ মিলেছে।



নজরে অনুব্রত কন্যাও 


গরুপাচার মামলায় এবার সিবিআইয়ের নজরে অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। সিবিআই সূত্রে দাবি, সুকন্যার নামে বোলপুরে কেনা হয়েছে জমি, চালকল-সহ একাধিক সম্পত্তি। বেনামে কোম্পানিও খোলা হয়েছে। যার শেয়ার ভ্যালু কোটি টাকা। অথচ অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা পেশায় স্কুল শিক্ষিকা। তাঁর নামে এত সম্পত্তি কীভাবে হল, সেটাই জানতে চান সিবিআই আধিকারিকরা। 


অন্যদিকে, গরুপাচারকাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলের সরাসরি যোগ রয়েছে বলে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে দাবি করেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, অনুব্রতর নাম করেই ব্যবসায়ী এনামুল হকের কাছ থেকে টাকা নিতেন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। এনামুলের সঙ্গে সায়গলের মোবাইলে কথোপকথনের তথ্য হাতে এসেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের। অনুব্রতর হয়ে তিনি কথা বলতেন বলে দাবি সিবিআইয়ের। সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে সিবিআইয়ের দাবি, গত ৭ বছরে বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও কলকাতায় একাধিক সম্পত্তি কেনেন সায়গল।


পুলিশ কনস্টেবল সায়গলের আয়ের সঙ্গে মিলছে না তাঁর সম্পত্তির হিসেব। চার্জশিটে সিবিআইয়ের দাবি, অনুব্রতর হয়ে ফোন ধরতেন সায়গল। তাঁর সঙ্গে গরুপাচারে ধৃত এনামুল হকের মোবাইলে কথোপকথনের তথ্য হাতে এসেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের। গরুপাচার মামলায় ৯৬ জন সাক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই তথ্য মিলেছে বলে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে উল্লেখ সিবিআইয়ের।