আবির দত্ত, কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি (recruitment scam) মামলায় ইডি (ED) হেফাজতে থাকা মানিক ভট্টাচার্যর (manik bhattacharya) আজ ফের স্বাস্থ্য পরীক্ষা (health check up)। নিয়ে যাওয়া হল জোকার ESI হাসপাতালে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যর আমলেই নিয়োগ দুর্নীতির (recruitment scam) ভুরি ভুরি অভিযোগ উঠেছে। তদন্তে নেমেছে দুই কেন্দ্রীয় সংস্থা। যদিও এরপরও মুখে কুলুপ ইডি হেফাজতে থাকা তৃণমূল বিধায়কের (TMC MLA)।


যা জানা গেল...
ইডি আদালতে জানিয়েছিল, তদন্তে সহযোগিতা করছেন না মানিক। তাঁকে যে প্রশ্ন করা হচ্ছে সেগুলিরও সদর্থক উত্তর পাওয়া যায়নি বলে দাবি করেন তদন্তকারীরা। এদিন সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নেরও উত্তর দেননি তিনি। সিজিও কমপ্লেক্স থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে প্রধানত দুটি প্রশ্ন করা হয়েছিল তাঁকে। এক,  প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতির ছেলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার যে অভিযোগ উঠেছে তা কতটা সত্যি? দুই, শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের আড়ালেই কি এই ধরনের কোনও চক্রান্ত চলত? দুটি প্রশ্নের উত্তরেই নীরব থেকেছেন মানিক। কিন্তু আপাতত মূল জিজ্ঞাস্য হল, ইডি-র প্রশ্নের উত্তরেও কি নীরব থাকছেন তিনি? গত কাল দুটি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের দফতরে তল্লাশি চালানো হয়েছিল যা কিনা মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের বলে ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে। এর মধ্যেই তদন্তকারী সংস্থার চার্জশিটে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অন্যতম 'কিংপিন' বলে দাবি করা হয়েছিল। এমন পরিস্থিতিতে তাঁর পক্ষে কত দিন মুখ না খুলে থাকা সম্ভব, প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সূত্রে খবর,. জোকা ইএসআই থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়ে ফের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তাঁকে। আর কারা এই চক্রে জড়িত জানতে জিজ্ঞাসাবাদ জরুরি, মনে করছেন আধিকারিকরা। 


তাপস মণ্ডলকে তলব...
এদিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিক ভট্টাচার্যর ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে তলব করল ইডি। তাঁকে আগামী ২০ অক্টোবর সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, তাপসের শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত নথিও আনতে বলা হয়েছে। গত কাল তাপসের ছেলে জানিয়েছিলেন, বাবা বাইরে রয়েছেন। তবে ইডি ডাকলে হাজির হবেন। সূত্রের খবর, তাপসের বারাসাতের বাড়িতে প্রায় সাড়ে ৮ ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়ে দুটি মোবাইল ফোন, একটি হার্ড ডিস্ক, ২টি পেন ড্রাইভ ও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি ও জমির দলিল উদ্ধার হয়। তদন্তকারীদের ধারণা, মোবাইলে গুরুত্বপূর্ণ চ্যাট থাকতে পারে। সেগুলি খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি, পরীক্ষার জন্য CFSL ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে হার্ড ডিস্ক।


আরও পড়ুন:বউবাজারে মেট্রো বিপর্যয়ের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে দিল্লি-বেঙ্গালুরু থেকে আসছেন বিশেষজ্ঞরা