আশাবুল হোসেন, কলকাতা: বালিগঞ্জে (Ballygunge) বিধানসভা উপনির্বাচনে (Assembly By-Election) প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)। আসানসোলে (Asansol) লোকসভা উপনির্বাচনে (Lok Sabha By-Election) প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিন্হা (Shtrughan Sinha)। ট্যুইট করে দুই প্রার্থীর নাম ঘোষণা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)।


১২ এপ্রিল আসানসোল, বালিগঞ্জে উপনির্বাচন। ১৬ এপ্রিল ভোট গণনা।


বাবুলই আসানসোলে বিজেপি সাংসদ ছিলেন। কিন্তু তিনি বিজেপি ছাড়ার পাশাপাশি সাংসদ পদ থেকেও ইস্তফা দেন। সেই কারণেই আসানসোল আসনটি খালি হয়। এবার সেখানে উপনির্বাচন হচ্ছে। 


অন্যদিকে, রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় প্রয়াত হওয়ায় বালিগঞ্জ বিধানসভা আসনটি খালি হয়েছে। এবার সেখানে বাবুলকে প্রার্থী করে চমক দিল তৃণমূল। গত বছর বিধানসভা নির্বাচনে টালিগঞ্জে বিজেপি প্রার্থী হয়েছিলেন বাবুল। তিনি রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের কাছে হেরে যান।


সম্প্রতি রাজ্যের ১০৮টি পুরসভার ভোটে তৃণমূল কংগ্রেস বিপুল জয় পেয়েছে। রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের দাপটে প্রায় মুছে গিয়েছে বিরোধীরা। ৩৩টি পুরসভা পুরোপুরি বিরোধীশূন্য। ১০৮টি পুরসভার মধ্যে তৃণমূল একাই ১০২টি পুরসভা জয় পেয়েছে। অর্থাৎ যতগুলো পুরসভায় ভোট হয়েছে, তার মধ্যে প্রায় ৯৪ শতাংশ পুরসভাই দখল করেছে তৃণমূল। কেবলমাত্র দু’টি পুরসভা গেছে বিরোধীদের হাতে। সবুজ ঝড়ের মধ্যেও নদিয়ার তাহেরপুর পুরসভায় জয়ের লাল নিশান উড়িয়েছে সিপিএম। আর দার্জিলিং পুরসভায় জয়ী হয়েছে নতুন দল হামরো পার্টি। বিজেপি একটিও পুরসভা জিততে পারেনি। একই ফল কংগ্রেসেরও। চারটি পুরসভা ত্রিশঙ্কু হয়। 


পুরভোটে ২ হাজার ১৭১টি ওয়ার্ডে ভোট হয়েছিল। তার মধ্যে ১ হাজার ৮৬৬টি ওয়ার্ডেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল। আসনের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে বিজেপি। তারা জিতেছে ৬৩টি আসনে। তৃতীয় কংগ্রেস। তাদের ঝুলিতে ৫৯টি ওয়ার্ড। চতুর্থ স্থানে বামেরা। ৫৭টি ওয়ার্ডে জিতেছে তারা। অন্যান্যদের ঝুলিতে ১১৯টি ওয়ার্ড।


১০৮টি পুরসভার ভোটে প্রাপ্ত ভোটের নিরিখে প্রথমস্থানে তৃণমূল। তারা প্রায় ৬৩ শতাংশ ভোট পেয়েছে। ১৪ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে বামেরা। তৃতীয় স্থানে থাকা বিজেপি পেয়েছে ১৩ শতাংশ ভোট। কংগ্রেস পেয়েছে ৫ শতাংশ ভোট। নির্দল ৫ শতাংশ।