অনির্বাণ বিশ্বাস ও প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: বাঘাযতীনে হেলে পড়া বহুতলের বাকি অংশ ভাঙার কাজ চলছে। এদিন হাইড্রোলিক ল্য়াডারের সাহায্য়ে কাজ করেন পুরসভার কর্মী এবং দমকল কর্মীরা। পাশাপাশি বহুতলের ভিতর থেকে আবাসিকদের জিনিসপত্র বাইরে বার করে আনার কাজও হয়। বহুতল বিপর্যয়ের ঘটনায় অভিযুক্ত প্রোমোটার গ্রেফতার হলেও খুশি নন ঘরছাড়া মানুষগুলো। 


বিপদ এখনও এক ছটাকও কমেনি। বাঘাযতীনে এখনও বিপজ্জনকভাবে হেলে রয়েছে এই বহুতল। তবে তার মধ্যেই চলছে ভাঙাভাঙির কাজ। বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবার সকালেও বাঘাযতীনে সুভাষ পার্কে কাজে নেমে পড়েন কলকাতা পুরসভা ও দমকলের কর্মীরা। মঙ্গলবার বাঘাযতীনের এই চারতলা বহুতল পাশের একতলা বাড়ির ওপর হেলে পড়ে। বহুতলের বাসিন্দাদের দাবি, একদিক কিছুটা বসে যাওয়ায়, বিল্ডিংটি হেলে পড়েছিল। তারপর হরিয়ানার একটি সংস্থাকে দিয়ে সেই ত্রুটি মেরামত করতে শুরু করেন প্রোমোটার। তার মধ্যেই ঘটে যায় এই বিপর্যয়। বহুতলটি ভেঙে ফেলার দায়িত্বে থাকা পুরসভার অস্থায়ী কর্মীদের দাবি, প্রথমে হেলে পড়া দিকের অংশ ভেঙে ফেলে বিল্ডিংয়ের ভার কমানো হবে। তারপর উল্টো দিকে বেরিয়ে যাওয়া রড বাকি অংশের সঙ্গে জুড়ে সাপোর্ট দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। এদিন ঘটনাস্থলে যায় কলকাতা পুলিশের সায়েন্টিফিক উইংয়ের আধিকারিকরাও। 


এই মুহূর্তে হেলে পড়া বহুতলের সঙ্গে পাশের নীল রঙের এই বাড়ির দূরত্ব মেরেকেটে ১০-১২ ফুটে এসে দাঁড়িয়েছে। এদিন বহুতলের হেলে যাওয়া অংশের দেওয়াল ভেঙে ভিতরে ঢোকেন কর্মীরা। ওয়াশিং মেশিন থেকে শুরু করে বেশকিছু সামগ্রী নামিয়ে এনে বাসিন্দাদের ফেরত দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবারই দক্ষিণ ২৪ পরগনার বকখালি থেকে অভিযুক্ত প্রোমোটার সুভাষ রায়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিন তাঁকে আলিপুর কোর্টে তোলা হয়। বাসিন্দাদের দাবি, গ্রেফতার করলে চলবে না, যেমন ছিল সেরকম ফিরিয়ে দিতে হবে। ভেঙে পড়া বহুতলের বাসিন্দারা বলছেন, "অভিযুক্ত প্রোমোটার গ্রেফতার হয়েছে। এটা আমরাও শুনেছি। গ্রেফতারে আমার আনন্দ পাওয়ার থেকে সবচেয়ে বড় কথা আমার নিজের বাসস্থানটা কী হবে সেটা নিয়ে চিন্তা করা উচিত। ওঁর প্রতি আমার ওরকম কোনও ব্যাপার নেই যে, ওনার ১০ বছর, ৫ বছর জেল হলে আমি খুব খুশি হব। আমি চাই হচ্ছে, আমার যেটা গেছে সেটা ফিরিয়ে দিক।'' 


আরও পড়ুন: Midnapore Medical college: মেদিনীপুর মেডিক্যালে প্রসূতির মৃত্যু, চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করল CID