কলকাতা : বাগুইআটির (Baguiati) দুই ছাত্র খুনে ধৃত সত্যেন্দ্র চৌধুরীকে (Satyendra Chowdhury) জেরায় চাঞ্চল্যকর তথ্য । খুনের পর থেকে পুলিশের নাকের ডগায় থাকত সে ! অন্য কোথাও নয়, হাওড়া স্টেশনেই রাত কাটাত সত্যেন্দ্র, এমনই জানা গেছে।


কীভাবে পাকড়াও ?


হাওড়া স্টেশন চত্বর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে মূল অভিযুক্তকে । বিধাননগর কমিশনারেটের হাতে গ্রেফতার হয় সত্যেন্দ্র। হাওড়া স্টেশনের উল্টোদিকে ট্র্যাভেলস অফিসে মুম্বইগামী ট্রেনের টিকিট কাটছিল সে। সিআইডি সূত্রে খবর। হঠাৎ ট্র্যাভেলসের অফিস বিদ্যুৎহীন হয়ে যায়। টাকা না থাকায় টিকিট কাটার জন্য নিজের ফোন থেকে ফোন করে সত্যেন্দ্র। তারপরেই ফোনের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে গ্রেফতার করা হয় সত্যেন্দ্রকে। তাকে হাতেনাতে পাকড়াও করে বিধাননগর পুলিশ ।


আরও পড়ুন ; ফুরিয়ে এসেছিল টাকা, বিভিন্ন নম্বর থেকে আত্মীয়দের ফোন, কীভাবে পুলিশের জালে সত্যেন্দ্র ?


সূত্রের খবর, তাকে জেরা করে জানা গেছে, হাওড়া স্টেশনের ওয়েটিং রুমে রাত কাটাত । টাকা দিয়ে ওয়েটিং রুম ভাড়া করে থাকত সত্যেন্দ্র। দিনের বেলায় আশেপাশেই ঘুরত, রাতে থাকত হাওড়া স্টেশনে। মুম্বই পালানোর ছক কষেছিল সে। পুলিশি জেরায় দাবি সত্যেন্দ্রর।


এদিকে গ্রেফতারির পরেও পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে বাগুইআটি জোড়া খুনের (Baguiati Twin Murder) অভিযুক্ত। 'অতনুর থেকে নেওয়া বাইক কেনার ৫০ হাজার টাকা চাওয়ায় খুন। বারবার চাওয়ায় টাকা ফেরাতে না পারায় খুন অতনুকে। অতনুর সঙ্গে যাওয়ায় অভিষেককেও খুন।' জেরায় দাবি সত্যেন্দ্রর, দাবি পুলিশ সূত্রের।


যদিও সত্যেন্দ্রর দাবি মানতে নারাজ তদন্তকারী অফিসাররা। 'অতনুকে খুনে লক্ষাধিক টাকা দিয়ে সুপারি কিলার ভাড়া করে সত্যেন্দ্র। ৫০ হাজার টাকার জন্য লক্ষাধিক টাকা কেন খরচ করবেন সত্যেন্দ্র ?' জানতে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে আদালতে আবেদন করে পুলিশ। সত্যেন্দ্রকে ১৪ দিনের সিআইডি (CID) হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। 


এদিকে সত্যেন্দ্র চৌধুরীর গ্রেফতারির খবর পেয়ে বাগুইআটির নিহত ছাত্র অতনু দে’র পরিবার মৃত্যুদণ্ডের দাবি তোলে। কান্নায় ভেঙে পড়ে অতনুর মা ধৃত সত্যেন্দ্রর মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানান। একই দাবি অতনুর বাবারও। শুক্রবার অতনুর বাড়িতে যান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। কথা বলেন নিহত ছাত্রের বাবা-মায়ের সঙ্গে। পরে তিনি প্রশ্ন তোলেন, শাসকদলের চাপেই কি নিষ্ক্রিয় ছিল পুলিশ? পরে নিহত আর এক ছাত্র অভিষেক নস্করের বাড়িতেও যান অধীর চৌধুরী।