কলকাতা: গত বছর বাংলাদেশের কলকাতা দখলের ডাকের হুমকির পর, চরম কটাক্ষ করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বলেছিলেন  , 'আমার কাছে খবর আছে, ঢাকা থেকে ৩ লক্ষ হাতে টানা রিকশ রওনা দিয়েছে কলকাতা দখল করার জন্য।' বলাইবাহুল্য শুভেন্দু কথায়, এপারে তখন উঠেছিল হাসির রোল। দেখতে দেখতে নতুন বছরে পা।  বাংলাদেশে আজও হিন্দু-বিদ্বেষ অব্যহত। ক্রমশ জটিল হচ্ছে পরিস্থিতি । বারবার সীমান্তে কাঁটাতার তৈরিতে বাধা BGB-র। ওদেশের হুঁশিয়ারির মধ্যেই এবার বাংলাদেশকে হুঙ্কার শুভেন্দু অধিকারীর।


এদিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, অতি বাড় বেড়ো না, ঝড়ে ভেঙে যাবে। পিপিলিকার পাখা গজায়, মরিবার তরে। ভারত এখন তৃতীয় সামরিক শক্তিশালী দেশ। ভারত অত্যন্ত দায়িত্বশীল দেশ। দুর্বল দেশকে আক্রমণ করে না। এরা জানে না, আমাদের সেনা পাঠানোর দরকার হবে না। আমরা এখন দ্রোনে এত বেশি উন্নত, তা জানেই না বাংলাদেশ।  ভারতের ধৈর্যের বাঁধ ভাঙলে, ৫-৭ ড্রোন পাঠিয়ে দিলেই সব শেষ। লাদেনের থেকেও খারাপ অবস্থা হবে।'


শুভেন্দুর সংযোজন,' আমাদের বালুরঘাট সীমান্তে, ওরা কতগুলি ট্যাঙ্ক নিয়ে এসেছিল। নিয়ে এসে খড়গাদা দিয়ে সাজিয়েছিল।আমাদের ট্যাঙ্ক লাগে না। ট্যাঙ্ক দিয়ে যুদ্ধ হয় না। ওরা ৬০-৭০ সালে আছে। বন্দুকে যুদ্ধ হয় না। ম্যান পাওয়ার লাগে না। ৫টা দ্রোন শুধু পাঠাবে ভারত। এরা এখনও ভারতের শক্তি সম্বন্ধে জানে না। এখানে ফোর্ট উইলিয়াম থেকে প্রেস করবে,...ওখানে ধপাধপ চলে যাবে।'


গত বছরের শেষে বাংলাদেশের কলকাতা দখলের ডাকের হুমকি নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতা বলেছিলেন, 'আমার কাছে খবর আছে, ঢাকা থেকে ৩ লক্ষ হাতে টানা রিকশ রওনা দিয়েছে কলকাতা দখল করার জন্য। আরে ওদের আছেটা কী ? র‍্যাফেল রাখা আছে হাসিমারায়। শুধু আওয়াজ দিলে না ওখান থেকে, প্যান্টে বাথরুম হবে।' 


আরও পড়ুন, রাতে শেষবার কথা, ফোনে না পেয়ে খড়গপুরে IIT-তে পৌঁছলেন মা-বাবা, হস্টেলের দরজা ভাঙতেই..


অপরদিকে, সীমান্তে লাগাতার বাংলাদেশের উস্কানি, তার মধ্যেই এবার ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব। মালদা থেকে কোচবিহার, বারবার সীমান্তে কাঁটাতার তৈরিতে বাধা BGB-র। সীমান্তে চাপানউতোরের মধ্যেই ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রকে গেলেন ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় বর্মা। বাংলাদেশের সংবাদপত্র যুগান্তর সূত্রে খবর । 'কোনও বিরূপ ঘটনা যেন না ঘটে, তা নিয়ে ভারতীয় হাইকমিশনারকে বার্তা। BGB ও বাংলাদেশি নাগরিকদের বাধায় কাঁটাতার দেওয়ার কাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে ভারত', ভারতকে বিঁধতে গিয়ে সীমান্তে উস্কানির কথা স্বীকার বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের উপদেষ্টার। বাংলাদেশের সংবাদপত্র যুগান্তর সূত্রে খবর।