কলকাতা: ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারির প্রতিবাদে অশান্ত বাংলাদেশ। প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা। সংখ্যালঘুদের উপর লাগাতার আক্রমণ ও সন্ন্যাসীকে গ্রেফতারির ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত সরকার। আর এবার এমন এক পরিস্থিতির মাঝে এপারে হাসপাতালে বাংলাদেশিদের 'No-Entry'! বাংলাদেশিদের চিকিৎসা নয়, জানিয়ে দিল মানিকতলার নার্সিংহোম।'বাংলাদেশিদের রোগীদের ভর্তি নয়, চিকিৎসা পরিষেবাও নয়', বাংলাদেশ নিয়ে কড়া সিদ্ধান্ত জেএন রায় হাসপাতালের।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর লাগাতার আক্রমণ হয়ে চলেছে। তিন মাস আগে দেশের সরকার বদলালেও, অচলাবস্থা কাটেনি। এরই মধ্যে, ইসকনের সন্ন্যাসীর গ্রেফতারি ঘিরে উত্তাল হল বাংলাদেশ। প্রতিবাদ চলছে দেশের নানা প্রান্তে। শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশজুড়ে সংখ্যালঘুদের উপর হামলার অভিযোগ আসছিল। এরই মধ্যেই সোমবার ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গ্রেফতার করা হয় ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে।বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও চট্টগ্রামের হাটহাজারীর পুণ্ডরিক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময়কৃষ্ণ দাস। চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে তাঁকে গ্রেফতার করে ঢাকা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলার দায়ের করা হয়েছে।
ইসকনের সন্ন্য়াসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস। আসল নাম ছিল চন্দন কুমার ধর।যাঁকে, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে, রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে গ্রেফতার করেছে ঢাকা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।সন্ন্য়াসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস। যিনি বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র। চট্টগ্রামের হাটহাজারীর পুণ্ডরিক ধামের অধ্যক্ষ। কয়েকদিন আগেই চট্টগ্রামে একটি সমাবেশ ডেকেছিলেন ইসকনের সন্ন্য়াসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস। সেখানে হাজির হয়েছিলেন, প্রায় চার লক্ষ হিন্দু ধর্মাবলম্বী। অভিযোগ, তার জেরেই ইসকনের সন্ন্য়াসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে টার্গেট করেছে বাংলাদেশের মৌলবাদীরা।আর সেই চাপের মুখে পড়েই, চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশ সরকার।
আরও পড়ুন, ভারতের জাতীয় পতাকার অবমাননা বাংলাদেশে ! কড়া জবাব ISF -এর নৌশাদের
ইসকনের সন্ন্যাসীর মুক্তির দাবিতে দলে দলে রাস্তায় নেমেছে সংখ্যালঘুরা। প্রতিবাদে উত্তাল চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা,মিছিলের পাশাপাশি, রাস্তায় শুয়ে প্রতিবাদ জানান তাঁরা। এক্স হ্যান্ডলে ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ও চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবি তুলে ইসকনের তরফে বলা হয়েছে, বিশ্বের যে কোনও জায়গায় সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে ইসকনের কোনও সম্পর্ক আছে, এমন ভিত্তিহীন অভিযোগ করা নিন্দনীয়। ভারত সরকারকে অবিলম্বে পদক্ষেপ করতে এবং বাংলাদেশ সরকারের সাথে কথা বলার আর্জি জানানো হচ্ছে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।