তুহিন অধিকারী, বাঁকুড়া : স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কয়েক কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠল রাষ্ট্রায়ত্ত ব্য়াঙ্কের ম্য়ানেজার, গোষ্ঠীর ক্য়াশিয়ার সহ বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে। অবিলম্বে টাকা ফেরতের দাবিতে, বাঁকুড়ার (Bankura) বিষ্ণুপুর সোনামুখী (Sonamukhi) রাজ্য় সড়ক অবরোধ ঘিরে রণক্ষেত্র এলাকা। বিক্ষোভের মুখে বিডিও। পুলিশের (Police) সঙ্গে ধ্বস্তাধস্তি।
বিক্ষোভ, হেনস্থার মুখে বিডিও
বিডিওকে ঘিরে বিক্ষোভ। ধাক্কাধাক্কি। পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধস্তি। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কয়েক কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ঘিরে উত্তপ্ত বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর (Bisnupur)। স্থানীয় সূত্রে খবর, বিষ্ণুপুরের মানিকবাজার গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় অন্তত ২০০টি মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠী আছে। এই গোষ্ঠীগুলির মধ্যে ৯১ টি গোষ্ঠীর প্রায় তিন কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ম্যানেজার, গোষ্ঠীর ক্য়াশিয়ার সহ বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে।
রাজ্য সড়ক অবরোধ
ঘটনার প্রতিবাদে এবং অবিলম্বে টাকা ফেরতের দাবিতে, এদিন কৃষ্ণবাটি এলাকায় বিষ্ণুপুর-সোনামুখী রাজ্য় সড়ক (Bishnupur-Sonamukhi State Road) অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা (Self Help Group Members)। এমনকী রাস্তায় শুয়ে পড়েন প্রতিবাদকারীরা। অবরোধের জেরে আটকে যায় বহু গাড়ি। যানজটে নাকাল হন নিত্যযাত্রীরা। খবর পেয়ে পুলিশ এলে, পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। ঘটনাস্থলে এসে বিক্ষোভের মুখে পড়েন সোনামুখীর বিডিও। কোনওক্রমে ঘটনাস্থল থেকে বেরিয়ে যান বিডিও দেবলীনা সর্দার।
স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের হুঁশিয়ারি, দ্রুত সমস্যার সমাধান না হলে শুরু হবে বড় আন্দোলন।
এদিকে, বাঁকুড়া জেলায় তাপমাত্রা ইতিমধ্যেই ৪৪ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। প্রবল এই গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে জেলার মানুষের। পাল্লা দিয়ে নামছে ভূগর্ভস্থ জলস্তর। ফলে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়েছে জলসঙ্কট। প্রায় প্রতিদিনই জেলার কোথাও না কোথাও পানীয় জলের দাবিতে অবরোধ বিক্ষোভের ঘটনা ঘটছে। এবার সেই বিক্ষোভ দেখা গেল বাঁকুড়ার মেজিয়া ব্লকের অর্ধগ্রামে। গ্রামের মন্ডলপাড়া, দত্তপাড়া, গোয়ালা পাড়া-সহ বেশ কয়েকটি পাড়ায় আজ সকাল থেকে দফায় দফায় রাস্তায় হাঁড়ি কলসি রেখে অবরোধ শুরু করেন বাসিন্দারা। স্থানীয়দের দাবি গ্রামের অধিকাংশ নলকূপের জল দূষিত ও পানের অযোগ্য। তীব্র গরমে কুয়োগুলিতেও জলের স্তর নেমে গিয়েছে। নলবাহিত পানীয় জল এখনও গ্রামে পৌঁছয়নি। এই পরিস্থিতিতে গ্রাম জুড়ে শুরু হয়েছে পানীয় জলের তীব্র হাহাকার।