তুহিন অধিকারী, বিষ্ণপুর : বহিরাগত চেয়ারম্যান চাই না। এমনই দাবি জানিয়ে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর (Bishnupur) পুর এলাকায় পড়ল পোস্টার। বিজেপির (BJP) অভিযোগ, তৃণমূলের কোন্দলের জেরে পড়েছে পোস্টার। যদিও তৃণমূলের দাবি, পোস্টারের সঙ্গে দলের যোগ নেই।


ফের বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর পুরসভা দখল করেছে তৃণমূল। শাসক দলের জয়ের হ্যাটট্রিকের পর, পুরসভার চেয়ারম্যান কে হবেন, তা নিয়ে জল্পনার মধ্যেই মঙ্গলবার বিষ্ণুপুর শহরজুড়ে পড়ল এই ধরনের পোস্টার। বিষ্ণুপুর শহরবাসীর নামে দেওয়া পোস্টারে দাবি করা হয়েছে, বহিরাগত চেয়ারম্যানের প্রয়োজন নেই। 


বিষ্ণুপুরের প্রাক্তন চেয়ারম্যান শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বিজেপিতে যাওয়ার পর, ২০২০-র নভেম্বর মাস থেকে ১০ মাস প্রশাসক পদে ছিলেন দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর ওই পদে আনা হয় অর্চিতা বিদকে। শাসক দলের এই নেত্রী একসময় বড়জোড়ার বাসিন্দা হলেও, পুরভোটের আগে বিষ্ণুপুর পুর এলাকার ভোটার হন। এবার পুরভোটে ১৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জেতেন অর্চিতা। 


আর পুরবোর্ড গঠনের মুখে মন্দিরনগরীতে এই পোস্টার ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি নীরজ কুমার বলেন, বিষ্ণুপুরের তৃণমূলের দুটো গ্রুপ এটা করেছে। কাউকে বড়জোড়া, কাউকে বিজেপি থেকে আনা হচ্ছে। বহিরাগত বলতে অর্চিতা বিদকে বলা হচ্ছে।


অন্যদিকে, বিষ্ণুপুর টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুনীল দাস বলেন, কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষ এসব কাজ করছে। বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা সিদ্ধান্ত নেবেন তাকে সমর্থন জানাই।


এবার পুরভোটে বিষ্ণুপুরের ১৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে তৃণমূল ১৩, নির্দল ৩, বিজেপি ২ ও কংগ্রেস ১টিতে জয়ী হয়েছে। 


প্রসঙ্গত, এবার প্রার্থী হতে না পেরে, বিধায়কের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান বিষ্ণুপুর (Bishnupur) পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের (TMC) বিদায়ী কাউন্সিলর। ওই ওয়ার্ডে এবার তৃণমূলের প্রার্থী হন সুজাতা গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁকে বহিরাগত বলে দাবি করে অনুগামীদের নিয়ে বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান বিদায়ী কাউন্সিলর।