পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: পে লোডারের ধাক্কায় স্কুল ছাত্রের মৃত্যু ঘিরে ক্ষোভে ফুঁসছে বাঁশদ্রোণী। গড়িয়ার রেনিয়ার বাড়িতে এখনও পড়ার টেবিলে ছড়িয়ে বই-খাতা। উৎসাহ ছিল ইলেকট্রনিক্স গ্য়াজেট তৈরিতে। টিউশন পড়তে গিয়ে বেঘোরে প্রাণ গেছে নবম শ্রেণির পড়ুয়া সৌম্য শীলের।  এই মর্মান্তিক মৃত্যুর দায় কার? উত্তর খুঁজছে শোকে বিহ্বল পরিবার। এদিকে, তড়িঘড়ি রাস্তা সারানোর উদ্যোগ নেওয়া হল। প্রশ্ন উঠছে, বাঁশদ্রোণীতে স্কুলছাত্রের মৃত্যুর পর টনক নড়ল প্রশাসনের? 


দুর্ঘটনাস্থলের আশপাশে অলি-গলিতেও রাস্তা মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে। ঠিকাদার সংস্থার তরফে প্রচুর লোকজন এবং ইট, বালি এনে যত দ্রুত সম্ভব রাস্তা ঠিক করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। স্থানীয়দের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা খারাপ। আগে সারাই হলে ছাত্রের প্রাণ যেত না। 


যদিও স্থানীয়দের দাবি, প্রায় ৫ বছর ধরে ভাঙাচোরা রাস্তা, সারানো হলেও রাস্তার হাল ফেরে না। ১৫ বছর ধরে ১১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অনিতা কর মজুমদার। তিনি কী করছেন? দুর্ঘটনার খবর পেয়েও কেন আসেননি? কোথায় স্থানীয় বিধায়ক অরূপ বিশ্বাস, সাংসদ সায়নী ঘোষ? প্রশ্ন স্থানীয়দের। মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে গেলে কাদাজলে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়ও পাটুলি থানার OC-কে। ধাক্কাধাক্কিও করা হয়। তাঁর এলাকা নয়, তাহলে কার নির্দেশে এসেছেন? পাটুলি থানার OC-কে ঘেরাও করে প্রশ্ন তুলেছিলেন ক্ষুব্ধ জনতা। OC-কে ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে স্পেশাল ফোর্স। কলার ধরে আটকায় উত্তেজিত জনতা।                                         


আরও পড়ুন, হাসপাতালের মধ্যেই ডাক্তারকে গুলি করে খুন! RG Kar-কাণ্ডের মধ্যেই ভয়ঙ্কর ঘটনা!


এদিকে, নাতিকে আকস্মিক হারিয়ে শোকস্তব্ধ মৃত ছাত্রের ঠাকুমা। ভাষা নেই কীভাবে এই শোক সামলাবেন এই বৃদ্ধ বয়সে। তাঁর দাবি, ভোটের সময় যারা আসে, গতকালের ঘটনার পর তাদের কারও দেখা মেলেনি। বাবা রিকশচালক, খারাপ রাস্তায় বিপদের ঝুঁকি নিয়ে তাঁকে চলতে হয়। যাত্রীদের সাবধানে গন্তব্যে পৌঁছে দিলেও বাঁচাতে পারেননি বড় ছেলেকে, এই কষ্টই কুরে কুরে খাচ্ছে। মায়ের এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না, ছেলে নেই। আর বাড়ি ফিরবে না সে। 
 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে