Burdwan Medical College: বর্ধমান মেডিক্যালে ওয়ার্ডের ভিতরেই রোগিণীর মেয়েকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ, গ্রেফতার ওয়ার্ড বয়
Bardhaman News : ওয়ার্ডেই আলো নিভিয়ে রোগিণীর মেয়ের শ্লীলতাহানির অভিযোগ। চিৎকার করলে তরুণীর মুখ চেপে ধরে মারধরেরও অভিযোগ।

বর্ধমান : ওয়ার্ডের ভিতরেই রোগিণীর মেয়েকে শ্লীলতাহানি, গ্রেফতার ওয়ার্ড বয়। এসএসকেএম, উলুবেড়িয়া, পাঁশকুড়ার পরে এবার বর্ধমান মেডিক্যাল। ওয়ার্ডেই আলো নিভিয়ে রোগিণীর মেয়ের শ্লীলতাহানির অভিযোগ। চিৎকার করলে তরুণীর মুখ চেপে ধরে মারধরেরও অভিযোগ। শ্লীলতাহানির অভিযোগ রোগিণীর মেয়ের, গ্রেফতার ওয়ার্ড বয় বিশ্বজিৎ দে। সম্প্রতি এসএসকেএম হাসপাতালে ওপিডি-তে দেখাতে এসে শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে নাবালিকা। এই ঘটনার রেশ কাটনি। তার আগেই ফের রাজ্যের আরও এক সরকারি হাসপাতাল থেকে এল শ্লীলতাহানির খবর। এবার শিকার রোগিণীর মেয়ে, তাও আবার হাসপাতালের ওয়ার্ডের মধ্যেই।
ডাক্তার দেখাতে এসে এসএসকেএম হাসপাতালে যৌন হেনস্থার শিকার নাবালিকা
যখন নাবালিকার পরিবার ওপিডির টিকিট করার কাজে ব্যস্ত ছিল, তখনই ঘটে কাণ্ড। জানা গিয়েছে, বাচ্চাটিকে ভুলিয়ে ভালিয়ে শৌচাগারে নিয়ে যায় অভিযুক্ত। হেনস্থার শিকার হয়ে বাঁচার জন্য চিৎকার করে ওঠে বাচ্চাটি। চিৎকার শুনে ছুটে আসেন হাসপাতালে থাকা পুলিশকর্মী এবং নিরাপত্তারক্ষীরা। এরপরেই গোটা ঘটনা জানাজানি হয়। হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জানা যায়, অভিযুক্ত ব্যক্তি বর্তমানে এনআরএস হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মী। এর আগে সে অস্থায়ী কর্মী হিসেবে কাজ করত শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে গ্রুপ-ডি পদে। সেই সুযোগ নিয়েই অভিযুক্ত ঢুকেছিল এসএসকেএম হাসপাতালে।
রাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ, বলা ভাল এক নম্বর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এসএসকেএম। প্রতিদিন প্রচুর মানুষ এখানকার ওপিডিতে আসেন চিকিৎসার জন্য। সেখানে একজন অবাধে প্রবেশ করে যাচ্ছে। স্বভাবতই নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। রাজ্যের নামকরা সরকারি হাসপাতাল যেন অবারিত দ্বার। যে যখন যেভাবে পারছে ঢুকে পড়ছে। চিকিৎসা করাতে আসা নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহও করছে। আবার পালিয়েও যাচ্ছে। তাহলে কোথায় রয়েছে রোগীদের নিরাপত্তা? বারংবার সকলের মনেই উঠছে এই প্রশ্ন। স্বভাবতই আতঙ্কে রয়েছেন রোগী এবং তাঁদের আত্মীয় পরিজনরা।
মুর্শিদাবাদের কান্দি হাসপাতালের ঘটনা
একের পর এক হাসপাতালে আক্রান্ত চিকিৎসক-নার্সরা। এবার প্রকাশ্যে কান্দি হাসপাতালের ঘটনা। সেখানে নার্সিং স্টাফরা আক্রান্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে নার্সিং স্টাফকে হেনস্থার অভিযোগ সামনে। জানা গিয়েছে, কর্তব্যরত নার্সের ওপর চড়াও হন রোগীর পরিজনরা। হাসপাতালের নার্সরুমে ভাঙচুর চালানো হয়। নথিপত্র লন্ডভন্ড করেন ওই রোগীর আত্মীয়-পরিজনরা। এই ঘটনায়, হাসপাতাল সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নার্সিং কর্মীরা। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতরা সকলেই খড়গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে।






















