ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা: পুজোর মুখে যাদবপুরে দর্জির দোকানে আগুন। আজ ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ যাদবপুর থানার কাছেই গড়িয়াহাট রোডের ওপর আগুন লাগার ঘটনা ঘটে।
প্রথমে যাদবপুর থানার পুলিশ গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি না থাকায় টেলারিং শপের শাটার খুলতে হিমশিম খান দমকল কর্মীরা।
আশেপাশে আবাসন ও পেট্রল পাম্প থাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অবশেষে প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর শাটার কেটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। ততক্ষণে পুড়ে ছাই হয়ে যায় গোটা দোকান।
শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লাগে বলে দমকলের প্রাথমিক অনুমান।
কলকাতায় পর পর অগ্নিকাণ্ড
কলকাতায় আগুন-আতঙ্ক। এবার পাতিপুকুরে। ভোর পাঁচটা নাগাদ মাইকেল কলোনিতে কাগজের গোডাউনে প্রথম আগুন নজরে আসে। মূলত পিচবোর্ডের মতো দাহ্য বস্তু মজুত থাকায় গোডাউনে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আগুন। এখনও তা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ঘটনাস্থলে রয়েছে দমকলের ১০টি ইঞ্জিন। খবর পাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু।
এর কিছুদিন আগে সাত সকালে হাওড়ার দাসনগর পোস্ট অফিসে আগুন লেগেছিল। ভস্মীভূত হয়ে যায় বহু কাগজপত্র। পৌনে সাতটা নাগাদ পোস্ট অফিসের জানালা দিয়ে ধোঁয়া বেরোতে দেখেন এলাকার বাসিন্দারা। সঙ্গে সঙ্গে দমকল ও দাসনগর থানায় খবর দেন তাঁরা। দমকলের একটি ইঞ্জিনের প্রায় ৪০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, কম্পিউটারে শর্ট সার্কিট থেকেই এই আগুন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান অনেক গ্রাহক। তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ কাগজ সুরক্ষিত আছে কিনা, তা নিয়ে উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেন তাঁরা। পোস্ট অফিসের জীর্ণ অবস্থা নিয়েও ক্ষুব্ধ তাঁরা।
এরও কিছুদিন আগে গভীর রাতে কাঁকুড়গাছির লোহাপট্টিতে বিধ্বংসী আগুনে ভস্মীভূত হয়েছিল ৬-৮টি গুদাম। রাত দেড়টা নাগাদ আগুন দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় এলাকা। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। প্রাথমিক অনুমান, প্লাস্টিকের গুদাম থেকে আগুন ছড়ায়। দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় দ্রুত আগুনের গ্রাসে চলে যায় পাশের ছাঁট লোহা, ফাইবারের আরও কয়েকটি গুদাম। দমকলের ২০টি ইঞ্জিন ঘণ্টাচারেকের চেষ্টায়, ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন নেভাতে দমকলের সঙ্গে হাত লাগান স্থানীয়রাও। কী কারণে আগুন, এখনও স্পষ্ট নয়।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে