রাজীব চৌধুরী, সামশেরগঞ্জ (মুর্শিদাবাদ): আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর সামশেরগঞ্জে নির্বাচন। তার আগেই বুধবার সন্ধ্যায় সামশেরগঞ্জে এসে পৌঁছেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
নির্বাচনের প্রাক্কালে বুধবার সামশেরগঞ্জে এসে পৌঁছল চার কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। বৃহস্পতিবার অর্থাৎ আজ সকাল থেকেই শুরু হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের রুটমার্চ। এদিন সকাল থেকেই সামশেরগঞ্জের নিমতিতা পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় রুট মার্চ করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। তাঁদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সামশেরগঞ্জের বিডিও কৃষ্ণ চন্দ্র মুন্ডা, ওসি সামিত তালুকদার সহ অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। তাঁরা জানান, অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচনের লক্ষ্যে সাধারণ মানুষকে অভয় দিতেই মূলত এলাকায় রুট মার্চ করছে কেন্দ্রীয় বাহিনী জওয়ানেরা।
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর কেন্দ্রে উপনির্বাচন ও সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরে ভোট। এর জন্য রাজ্যে ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসার কথা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর, ওই ১৫ কোম্পানির মধ্যে সিআরপিএফের ৭ কোম্পানি, বিএসএফের ৪ কোম্পানি, এসএসবি-র ২ কোম্পানি এবং সিআইএসএফ ও আইটিবিপি-র ১ কোম্পানি করে বাহিনী আসছে রাজ্যে।
নামেই উপনির্বাচন। কিন্তু, উত্তাপ বিধানসভা নির্বাচনের থেকে এটুকু কম নয়। কারণ কেন্দ্রের নাম - ভবানীপুর। আর তৃণমূল প্রার্থীর নাম, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে চ্যালেঞ্জ জানাতে বিজেপি ময়দানে নামিয়েছে প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালকে। আর সিপিএমের বাজি, তরুণ আইনজীবী শ্রীজীব বিশ্বাস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই মনোনয়ন পেশ করেছেন। সোমবার একটি কর্মসূচি থেকে ফেরার পথে, ভবানীপুরের ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে গাড়ি থেকে নেমে, ছোট্ট করে জনসংযোগও সেরে নেন তিনি।
হোমগ্রাউন্ডে তৃণমূল নেত্রীর জয়ের ব্যাপারে পুরোদস্তুর আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল। সোমবার মনোনয়ন পেশ করেন ভবানীপুরের সিপিএম প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাস ও বিজেপি প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল। দলীয় প্রার্থীর জয়ের দাবি করতে গিয়ে, বিজেপি টানছে, বিধানসভা ভোটের ওয়ার্ডভিত্তিক পরিসংখ্যানকে। গত বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুরে তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের জয়ের মার্জিন ছিল ২৮ হাজার ৭১৯। কিন্তু, ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২টিতে লিড পেয়েছিল বিজেপি। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের ফলের নিরিখে, এই আটটা ওয়ার্ডের মধ্যে ছ’টাতেই এগিয়ে ছিল বিজেপি।