কলকাতা: একুশের নির্বাচনের (WB Assembly Election 2021) আগে গানে-স্লোগানে ভেসেছিল বাংলার প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক দল। তারই সঙ্গে ছিল বিজেপির 'পঞ্চপাণ্ডব' প্ল্যান। ওদিকে মাস্টার প্ল্যান সাজাচ্ছিলেন তখন পিকে (PK)। আর এবার দোরগড়ায় লোকসভা ভোট (Lok Sabha Election 2024)। প্রায় ইতিমধ্যেই কলকাতা এসে দলীয় বৈঠকে টার্গেট বেঁধে দিয়েছেন অমিত শাহ (Amit Shah)। এদিকে লক্ষ্যপূরণ তো দূরে থাক, অতীতের নির্বাচনের ফলাফল মনে করিয়ে ফুৎকারে উড়িয়ে দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে ফিরহাদ হাকিম। ঠিক এমনই এক সময় কড়া বার্তা দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। বললেন,' ১ মার্চ ও ২ মার্চ সরকারের তরফে প্রত্যেক অঞ্চলে সভা..।' কী পরিকল্পনা তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের ?


এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, লোকসভার আগে তৃণমূল কংগ্রেসের অস্ত্র ১০০ দিনের টাকা। রাজ্যের কোষাগার থেকে ১ মার্চ টাকা দেওয়া হবে। ১৮ থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের সহায়তা শিবির। দক্ষিণ ২৪ পরগনা বাদে রাজ্যের ৩৩৪৩টি অঞ্চলে হবে শিবির। বিধায়ক। সাংসদদের শিবির পরিদর্শন বাধ্যতামূলক। প্রতিটি বিধানসভা অঞ্চল থেকে ১০ জন এসসি ও ৫জন এসটি কর্মীর নাম পাঠানোর নির্দেশ। প্রতিটি বুথ থেকে ৪ জন একনিষ্ঠ তৃণমূল কর্মীর নাম পাঠাতে হবে রাজ্যকে। ১ মার্চ ও ২ মার্চ সরকারের তরফে প্রত্যেক অঞ্চলে সভা। চায়ে পে চর্চার আদলে চায়ের দোকানে বসে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা তুলে ধরার নির্দেশ। তৃণমূলের সর্বস্তরের নেতাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।


আরও পড়ুন, 'সন্দেশখালি নিয়ে এত মাতামাতি, আমাদের যখন..', বিস্ফোরক অভিষেক


লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হতে পারে শীঘ্রই। বাংলায় একলা চলার ডাক দিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। এই পরিস্থিতিতে, কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্প এবং আদি-নব্য সমীকরণ মেনে একেবারে বুথস্তর থেকে সংগঠনকে চাঙ্গা করে জোরকদমে ময়দানে নেমে পড়ার নির্দেশ দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সূত্রের খবর, শুক্রবার দলীয় সাংসদ, বিধায়ক ও ব্লক সভাপতিদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠকে তিনি বলেন,এবারের ভোট প্রতিরোধ, প্রতিশোধের ভোট। বিজেপিকে শিক্ষা দেওয়ার ভোট। বিজেপি নামক জমিদার তাড়ানোর ভোট। ধর্মের নামে মানুষ একবার ওদের ভোট দিয়েছে। এবার আর তা হবে না। ন্যাড়া একবারই বেলতলায় যায়! বারবার যায় না। ভোট হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার বিরুদ্ধে।'