কলকাতা : মোমিনপুরে অশান্তি! দু’পক্ষের সংঘর্ষে উত্তেজনা। জারি ১৪৪ ধারা।মোমিনপুরে সংঘর্ষের ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও রাজ্যপালকে চিঠি দিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। অমিত শা-র ( Amit Shah ) কাছে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে চিঠি বিরোধী দলনেতার। চিঠিতে একবালপুর থানায় তাণ্ডবের অভিযোগ। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গেছে, বলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও রাজ্যপালকে লেখা চিঠিতে অভিযোগ জানান শুভেন্দু অধিকারী


 দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের জের
শনিবার রাতে ঘটনার সূত্রপাত মোমিনপুরে। ময়ূরভঞ্জ রোডে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের জেরে শুরু হয় বোতল ছোড়াছুড়ি। দু’পক্ষের মধ্যে ইটবৃষ্টিও হয়। শনিবার রাতের পর, গতকাল দুপুরে ফের উত্তেজনা ছড়ায় ওয়াটগঞ্জ ও একবালপুর থানা এলাকায়। একবালপুর থানা ঘেরাও করে উত্তেজিত জনতা।  পরিস্থিতি সামাল দিতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। ঘটনায় কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিক-সহ কয়েকজন আহত হন। বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। নামানো হয়েছে র‍্যাফ।


সুকান্ত বনাম সৌগত 
আটক হওয়ার পর সুকান্ত মজুমদার বলেন,' পুলিশের থানা দখল হয়ে গেল। পুলিশ কিছু করতে পারল না। অথচ তাঁকে চিংড়িঘাটায় আটকে লালবাজারে নিয়ে আসা হল। ' পাল্টা সৌগত রায় বলেন, ' মোমিনপুরের ঘটনা দুঃখজনক। প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে। গোটা বিষয় রাজ্যের এক্তিয়ারভুক্ত। অমিত শাহ কী করবেন? সুকান্তই বা কেন যাবেন? ' 


সুকান্ত মজুমদারকে গ্রেফতার
মোমিনপুরে অশান্তির ঘটনায় ঘটনাস্থলে যেতে চাওয়ায় সুকান্ত মজুমদারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিন চিংড়িঘাটা মোড়ে আটকানো হয় বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে। ডিসি ইস্ট গৌরব লালের সঙ্গে কথা হয় সুকান্ত মজুমদারের। তিনি  বলেন,' আমার বক্তব্য হচ্ছে, আপনাকে ৪৮ ঘণ্টা আমি সময় দিয়েছি। আপনি ৪৮ ঘণ্টায় সেখানে শান্তি আনতে পারেননি।' গৌরব লালের জবাব,  'ওখানে অনেককে ধরা হয়েছে। ৪০ শতাংশের বেশি গ্রেফতার করা হয়েছে। আমি তো ওখানকার দায়িত্বে নেই। আপনাকে আমি ইনফরমেশন দিচ্ছি, ওখানে অনেককে অ্যারেস্ট করা হয়েছে।'   শেষে বিজেপি রাজ্য সভাপতি ও তাঁর দুই সঙ্গীকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয় লালবাজারে।