পূর্ব বর্ধমান: আগ্নেয়াস্ত্র (Fire Arms ) পাচারের অভিযোগে ২ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল বেঙ্গল এসটিএফ (Bengal STF)। পূর্ব বর্ধমানের (West Burdwan) মন্তেশ্বরের কুসুমগ্রাম বাস স্ট্যান্ড থেকে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে দাবি, মন্তেশ্বরের বাসিন্দা কুরবান আলি ওই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আসে বিক্রির জন্য। মুর্শিদাবাদের ডোমকলের বাসিন্দা রাকেশ মোল্লাকে ওই আগ্নেয়াস্ত্র পাচারের (Arms Smuggling) কথা ছিল। তার আগেই গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালয়ে দু’জনকে ধরে ফেলে এসটিএফ। ধৃত কুরবানের কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। 


 বীরভূমে বোমা উদ্ধার: গত ১৬ নভেম্বর, ফের অস্ত্র উদ্ধার হয় বীরভূমে। পুলিশ সূত্রে খবর, ১৫ নভেম্বর রাতে বীরভূম-ঝাড়খণ্ড সীমানায় নলহাটির নাচপাহাড়ি গ্রামে নাকা তল্লাশির সময় এক যুবককে আটক করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে দাবি, ধৃতে কাছ থেকে উদ্ধার হয় ৩টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ১১ রাউন্ড গুলি। 


মেয়রের বাড়ির ঢিল ছোড়া দূরত্বে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার: গত ১৫ নভেম্বর সাতসকালে শিলিগুড়িতে মেয়রের বাড়ির ঢিল ছোড়া দূরত্বে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার। ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা। পরিষ্কার করতে গিয়ে নর্দমায় একটি ওয়ান শটার পড়ে থাকতে দেখেন পুরসভার এক সাফাই কর্মী। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছন তৃণমূল কাউন্সিলর মিলি সাহা। যেখানে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়, তার অদূরেই শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবের বাড়ি। এভাবে শহরে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। 


একের পর এক বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার: পঞ্চায়েত ভোটের আগে উদ্ধার হচ্ছে একের পর এক বেআইনি অস্ত্র। ১৫ দিনের মাথায় ফের দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাশীপুরে উদ্ধার হয় ৫টি আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে একাধিক জায়গা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের খবর প্রকাশ্যে এসেছে। এ নিয়ে তৃণমূল সরকারকে নিশানা করেছে বিজেপি। পাল্টা জবাব দিয়েছে শাসকদলও। 


রাইফেল থেকে পিস্তল, বোমা থেকে বারুদ। পঞ্চায়েত ভোটের আগে উদ্ধার হচ্ছে একের পর এক বেআইনি অস্ত্র! কলকাতা থেকে জেলা - বেআইনি অস্ত্রের খোঁজ মিলছে প্রায় প্রত্যেকদিন!


বেআইনি অস্ত্র উদ্ধারে রাজনৈতিক তরজা: কিছুদিন আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাশীপুরে ফের বেআইনি অস্ত্রের হদিশ পায় পুলিশ। উত্তর স্বরূপনগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয় পাঁচটি ওয়ান শটার এবং ৩টি কার্তুজ। ঘটনায় এক অস্ত্র ব্যবসায়ীকেও গ্রেফতার করেছে কাশীপুর থানার পুলিশ। কাশীপুর থানা সূত্রে দাবি, এ দিন আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রির জন্য এলাকার একটি ইটভাটার কাছে জড়ো হয় দু’জন। সেই সময় হানা দিয়ে একজনকে পুলিশ ধরে ফেলে। অন্যজন বাইকে চড়ে চম্পট দেয়।


পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃত ব্যবসায়ীকে জেরা করে অস্ত্র পাচারের নেটওয়ার্কের পর্দাফাঁস করতে চান অফিসারেরা। সাম্প্রতিক অতীতেস  কলকাতার আমহার্স্ট স্ট্রিট লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকার বেওন্তায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাশীপুর, হুগলির ডানকুনি, মুর্শিদাবাদের ডোমকল, রেজিনগর থেকে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ একাধিক ব্যক্তি ধরা পড়েছে। কলকাতার উপকণ্ঠে নরেন্দ্রপুরেও উদ্ধার হয়েছে অস্ত্র। উত্তর ২৪ পরগনার শাসনে তৃণমূল নেতার বাড়িতেও উদ্ধার হয়েছে বেআইনি অস্ত্র। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটের কোথা থেকে আসছে এত অস্ত্র? কী উদ্দেশ্যে বিভিন্ন জায়গায় এত অস্ত্র মজুত করা হচ্ছে?  জেলায় জেলায় যেভাবে একের পর এক অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে, তাতে পঞ্চায়েত ভোট শান্তিপূর্ণ হবে তো? সেই সংশয়ে তৈরি হয়েছে অনেকের মধ্যে।