ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: উনি ধূমকেতুরও অধম। ধূমকেতুকে তাও দেখা যায়, ওঁকে তো দেখাই যায় না। কটাক্ষ এলাকার বাসিন্দাদের। বীরভূমে দিদির দূত কর্মসূচিতে গিয়ে ফের ক্ষোভের মুখে পড়লেন তৃণমূল বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। রামপুরহাটের পর এবার মহম্মদবাজার। ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। 


ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। রবিবারের পর মঙ্গলবার। দিদির দূত কর্মসূচিতে গিয়ে ফের গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন রামপুরহাটের তৃণমূল বিধায়ক ও বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। 


রবিবার রামপুরহাটের বালিয়াডাঙায় সরকারি পরিষেবা নিয়ে গ্রামবাসীদের একাধিক অভাব অভিযোগ শুনতে হয়েছিল তৃণমূল বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে। মঙ্গলবার মহম্মদবাজার ব্লকের কাপাসডাঙায় গিয়ে আরও তীব্র ক্ষোভের মুখে পড়লেন তিনি। 


রামপুরহাটের তৃণমূল বিধায়ককে আসতে দেখে তাঁর গাড়ি আটকান স্থানীয় গ্রামসভার নেতা ও কয়েকজন এলাকাবাসী। তা নিয়ে শুরু হয়ে যায় বাদানুবাদ। বিধায়ককে বিক্ষোভের মুখে পড়তে দেখে এগিয়ে আসে পুলিশ। ক ব্যক্তি বিক্ষুব্ধ গ্রামসভার নেতাকে ঠেলে বিধায়কের গাড়ির সামনে থেকে সরিয়ে দেন। কিন্তু তারপরেও ক্ষোভ উগরে দিতে থাকেন তিনি। 


শুধু গ্রামসভার নেতাই নন। গ্রামে পানীয় জল পরিষেবা ও নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ গ্রামবাসীরাও। বীরভূমে বিক্ষোভের মুখে 'দিদির দূত' আশিস। রাজনৈতিক চাপানউতোর চরমে। 


পোস্টার লিখে প্রতিবাদ: গ্রামে ঢুকবেন না নেতা-মন্ত্রীরা, মালদায় দেওয়াল লিখনে প্রতিবাদ গ্রামবাসীদের। তাঁদের অভিযোগ, বেহাল রাস্তা, পরিশ্রুত পানীয় জলের বারবার দাবি জানালেও, কোনও লাভ হয়নি। ঘটনাকে বিজেপির ষড়যন্ত্র, বলে দাবি করেছে তৃণমূল। দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের কেন ঢুকতে দেবেন গ্রামবাসীরা? পাল্টা কটাক্ষ বিজেপির।


দিদির দূত ও নেতা-মন্ত্রী এই পাড়ায় ঢোকা নিষেধ। মালদার মঙ্গলবাড়িতে এবার দেখা গেল এরকমই দেওয়াল লিখন! দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে, দিদির দূত হয়ে যাওয়া, তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের ঘিরে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ-বিক্ষোভ অব্যাহত!


সাংসদ থেকে বিধায়ক, বাদ যাচ্ছেন না রাজ্যের মন্ত্রীও! এই পরিস্থিতিতে, মালদার মঙ্গলবাড়ির পাশিপাড়া গ্রামের বাসিন্দারা দেওয়ালে লিখলেন, নেতা-মন্ত্রী এই পাড়ায় ঢোকা নিষেধ। স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকায় রাস্তা বেহাল। পরিশ্রুত জলের কোনও ব্যবস্থা নেই। বারবার বলেও সমস্য়ার কোনও সুরাহা হয়নি। গ্রামবাসীদের সাফ কথা, শুধু ভোটের জন্য নেতা-মন্ত্রীরা আসুন, এটা তাঁরা চান না।


তৃণমূল সাংসদ মৌসম বেনজির নুর থেকে রতুয়ার তৃণমূল বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়। মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি রফিকুল হোসেন থেকে চাঁচলের তৃণমূল বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ। গত কয়েকদিনে, মালদা জেলাতেই ক্ষোভের মুখে পড়েছেন দিদির দূতেরা। এই পরিস্থিতিতে, এবার বাসিন্দাদের এহেন দেওয়াল লিখন ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। গত পঞ্চায়েত ভোটে এই গ্রাম ছিল তৃণমূলের দখলে। এবার কী হবে? সেটাই দেখার।