ভাস্কর মুখোপাধ্যায় ও নান্টু পাল, বীরভূম: মহম্মদবাজারে বিস্ফোরক উদ্ধারে অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে (Saigal Hossein Interrogation by NIA) জিজ্ঞাসাবাদের মধ্যেই ফের বীরভূম (Nalhati Explosive Recovery) থেকে উদ্ধার বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক। এবার নলহাটি থেকে হদিশ মিলল বিস্ফোরকের। উদ্ধার ২১ হাজার ডিটোনেটর, ২৪ হাজার জিলেটিন স্টিক এবং ১৪ বস্তা অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট। নলহাটির পরিত্যক্ত পাথর ক্রাশারের অফিসে হানা দিয়ে বিস্ফোরক উদ্ধার পুলিশের। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে ধরেনি পুলিশ। একাংশের ধারণা, পাথর খাদান ভাঙার জন্য এই বিস্ফোরক মজুত করে রাখা হতে পারে। আপাতত বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ। 


যা জানা গেল...
সূত্রের খবর, রামপুরহাটের এসডিপিও ধীমান মিত্রের নেতৃত্বে গত বৃহস্পতিবার রাতে রামপুরহাট পুলিসের একটি টিম নলহাটির চন্দননগর গ্রামের পরিত্যক্ত পাথর ক্রাশারের দুটি দফতরে হানা দেয়। সেখানেই বিস্ফোরকগুলি মজুত ছিল বলে অভিযোগ। বীরভূমের ঝাড়খণ্ড সীমানা লাগোয়া ওই এলাকার দুটি পাথর ক্রাশারের পরিত্যক্ত অফিসে যে কিছু থাকতে পারে, সেই নিয়ে গোপন সূত্রে খবর পেয়েছিলেন অভিযানকারীরা। তার পরেই বিস্ফোরকের হদিশ মেলে। আপাতত, দুটি পরিত্যক্ত অফিসের পাশাপাশি সংলগ্ন এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বম্ব স্কোয়াড এসে আজই এগুলি উদ্ধার করবে বলে খবর। গত বছরদুয়েক আগে এই এলাকায় বিস্ফোরক উদ্ধারের খবর অনেকটাই শোনা গিয়েছে। 
গত ২০২২ সালের জুন মাসে যেমন, মহম্মদবাজারে অপারেশন চালিয়ে একটি গাড়ি থেকে ৮১ হাজার পিস ডিটোনেটর উদ্ধার করেছিল এসটিএফ। সেই সূত্রে গ্রেফতার করা হয় আশিস কেওড়া নামে এক গাড়িচালককে। তাকে জেরা করে চন্দননগর লাগোয়া লক্ষ্মণমারা পাথর শিল্পাঞ্চল এলাকার একটি গোডাউনে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে ২২৫ প্যাকেট অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ও ৩ হাজার পিস ডিটোনেটর উদ্ধার করে এসটিএফ। সেই ঘটনার তদন্ত করছে এনআইএ। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে তারা। চলতি বছরের ১১ জুলাই বিস্ফোরক মজুতের অভিযোগে নলহাটির বাহাদুরপুর গ্রামের মনোজ ঘোষ নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পঞ্চায়েত ভোটের তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। এই ঘটনার দু'দিন আগে এই মামলায় পাইকরের কুশমোরের তৃণমূল নেতা ইসলাম চৌধুরী এনআইয়ের হাতে ধরা পড়েন। একের পর এক ঘটনার রেশ কাটতে না কাটেই ফের বিস্ফোরক উদ্ধারের খবরের জেরে শিরোনামে নলহাটি।


জিজ্ঞাসাবাদ সায়গলকে...
এক দিকে যখন মহম্মদবাজারে জিলেটিন স্টিক উদ্ধারকাণ্ডে তিহাড় জেলে বন্দি সায়গল হোসেনকে জেরা করল NIA, অন্য দিকে তখনই নলহাটিতে এই বিস্ফোরকের হদিস। সূত্রের খবর, NIA জানতে চায়, বিস্ফোরকের কারবারিদের সঙ্গেও কি সায়গল হোসেনের যোগাযোগ ছিল? প্রভাবশালী যোগ ছাড়া কি এই বিস্ফোরকের কারবার চলতে পারে? গত কাল সায়গলকে জেরা করে এইসব প্রশ্নেরই উত্তর খোঁজে NIA।


আরও পড়ুন:তারা মায়ের সঙ্গে আর তোলা যাবে বা সেলফি ! বদলে গেল তারাপীঠের একগুচ্ছ নিয়ম